|
|
|
|
সংস্কারের সিদ্ধান্তে টাকার দাম বাড়ার জের |
এ মাসেই পেট্রোলের দাম কমার ইঙ্গিত |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আর্থিক সংস্কারের সিদ্ধান্তে অটল মনমোহন সরকার। আর, তার হাত ধরেই চলতি মাসের শেষে কিছুটা কমতে পারে পেট্রোলের দাম।
বহু ব্র্যান্ডের খুচরো বিপণনে সরাসরি বিদেশি লগ্নির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নেওয়ার পরই বিনিয়োগকারীদের ভারতের প্রতি আস্থা বেড়েছে। যার জেরে ডলারে টাকার দাম পৌঁছে গিয়েছে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্কে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব বাজারে তেলের দামও কমেছে। স্বাভাবিক ভাবেই তা কমিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির তেল আমদানির খরচ। বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে পেট্রোল বিক্রি করে লিটারে প্রায় ১ টাকা ৬০ পয়সা মুনাফা ঘরে আসছে তেল সংস্থাগুলির। ক্রেতাদের কাছে এই সুবিধা পৌঁছে দিতেও রাজি তারা। তবে সংস্থাগুলি তার আগে দেখে নিতে চায় দাম কমার এই প্রবণতা বজায় থাকে কি না। তাই দাম কমানোর ব্যাপারে কোনও সময়সীমা নির্দিষ্ট না-করলেও অক্টোবরের শেষে পেট্রোল ১ টাকা ৬০ পয়সার মতো সস্তা হতে পারে বলেই ইঙ্গিত শিল্পমহলের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই টাকার দাম কমার ফলে কমেছে বিমান জ্বালানির দাম।
গত অগস্টের দ্বিতীয় ভাগে গড়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৫৫.৫৮ টাকা। গত ১৫ দিনে তা দাঁড়িয়েছে ৫৪.১২ টাকা। বুধবারও ডলারে টাকার দাম ২৪ পয়সা বেড়েছে। ফলে দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫২.১৬ টাকা। যা গত সাড়ে ৫ মাসে সর্বোচ্চ। |
|
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ভারতের বাজারে বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি বাড়ায় ডলারের জোগান বেড়েছে, ফলে ডলারের দর পড়েছে, বেড়েছে টাকার দাম। ব্যাঙ্ক এবং রফতানিকারীদের ডলার বিক্রির প্রভাবেও বেড়েছে ভারতীয় টাকার দাম। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলে ১২৬.১১ ডলার থেকে নেমে এসেছে গড়ে ১২২.৩১ ডলারে। তেল সংস্থাগুলি এর ফলে এই অর্থবর্ষে পেট্রোল বিক্রি বাবদ ৬ হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনলেও এখন মুনাফার মুখ দেখছে। উল্লেখ্য, পেট্রোলের দাম এর আগে শেষ বার বেড়েছে গত ২৪ জুলাই। তখন তা লিটারে ৭০ পয়সা বাড়ানো হয়। দাম সর্বশেষ কমেছিল ৩ জুন। সে বার দর কমেছিল লিটারে ২ টাকা ২ পয়সা। |
|
|
|
|
|