|
|
|
|
জঙ্গি উপদ্রবেও কমেনি পর্যটক, দাবি সরকারের |
সঞ্জয় চক্রবর্তী • রাঁচি |
রাজ্যের অন্যতম দ্রষ্টব্য পাহাড়ি-জঙ্গল এলাকায় উগ্রপন্থী জঙ্গিদের ধারাবাহিক হামলা চললেও পর্যটকদের কাছে ঝাড়খণ্ডের আকর্ষণ নাকি বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং বেড়েছে। এমনই দাবি রাজ্য পর্যটন দফতরের। ঝাড়খণ্ড পর্যটন দফতরের বক্তব্য, জঙ্গিদের দৌরাত্ম্যে কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে পর্যটন ব্যবসা মার খেয়েছে। কিন্তু তাতেও গত এক দশকে ঝাড়খণ্ডের মাটিতে পর্যটকদের যাতায়াত কমেনি, কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এ দিন দাবি করেছেন পর্যটনমন্ত্রী বিমলা প্রধান।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, “উগ্রপন্থীদের হামলার আশঙ্কায় গত এক দশকে রাজ্যের কিছু এলাকায় পর্যটন ব্যবসা মার খেয়েছে ঠিকই। কিন্তু পরিসংখানে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে পর্যটকদের আগমন তাতে কমেনি। বরং অনেকটাই বেড়েছে। জঙ্গিদের হাতে রাজ্যের কোথাও, কোনও পর্যটক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেনি।” ঝাড়খণ্ড পর্যটন দফতরের বক্তব্য, রাজ্যের পাহাড়-জঙ্গলে জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য চলায়, বিশেষ করে লাতেহার গুমলা, পলামু, দুমকা, পূর্ব এবং পশ্চিম সিংভূম জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে পর্যটন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু তাতেও রাজ্যে পর্যটক আসার সংখ্যা হ্রাস পায়নি। দফতরের পরিসংখান অনুযায়ী, ২০০১ সালে রাজ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ পর্যটক এসেছিলেন। ২০১১ সালে ঝাড়খণ্ড ভ্রমণে এসেছিলেন তার তিন গুণ পর্যটক, প্রায় দেড় কোটি।
এরই পাশাপাশি পর্যটন দফতর জানিয়েছে, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আরও বেশি করে টানতে ঝাড়খণ্ডের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পলিপ্যাক ব্যবহার বন্ধেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে এ দিন বিমলা দেবী জানান। দফতর সূত্রের খবর, পর্যটন কেন্দ্র পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্প, ‘ক্লিন ইন্ডিয়া ক্যাম্পেন’-এর আওতায়। কাজ চলছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির মাধ্যমে। কাজ হবে পর্যায়ক্রমে। প্রথম দফায়, রাজ্যের প্রথম সারির ডজন খানেক পর্যটন কেন্দ্রকে বেছে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে কাজ চলবে। পর্যটনমন্ত্রী জানান, ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে প্রথম দফায় পরিচ্ছন্নতার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে রামগড় জেলার রাজরাপ্পা, দেওঘরের ত্রিকূট, পারশনাথ। ইতিমধ্যে, রাজরাপ্পার কাজ শেষ হয়েছে। রাজ্য পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে রাঁচির হুড্রু, জুনহা, এবং দশম জলপ্রপাত এলাকায়। কাজের তালিকায় রয়েছে রাঁচির জগন্নাথ মন্দির এবং পাহাড়ি মন্দিরও। |
|
|
|
|
|