|
|
|
|
ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম আরও বাড়ল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক ধাক্কায় ১২৭ টাকা।
রান্নার গ্যাসে ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারের দাম আরও ১২৭ টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দামবৃদ্ধি। পয়লা অক্টোবর থেকে এই বর্ধিত দাম ধার্য হল বলে গণ্য করা হবে।
গত মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার রান্নার গ্যাসে পরিবারপিছু ভর্তুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের সংখ্যা বছরে ৬টিতে বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত এই মাস থেকেই কার্যকর হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে বছরে ৬টির বেশি সিলিন্ডার লাগলে তা বাজার দরে কিনতে হবে। ভর্তুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের সঙ্গে ভর্তুকিবিহীন দামের তফাৎ এমনিতেই প্রায় দ্বিগুণ ছিল। আজ সেটা এক লাফে আরও খানিকটা বাড়ল।
দিল্লিতে ভর্তুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের দাম এখন ৩৯৯ টাকা। বুধবার বর্ধিত দাম ঘোষণার পরে ১৪.২ কেজি-র ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারের দাম দিল্লিতে দাঁড়াবে ১০৬২ টাকা। পশ্চিমবঙ্গে ভর্তুকি-সহ সিলিন্ডারের দাম এখন ৪০১ টাকা। ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারের দাম কত হবে, সেই সঠিক হিসেব রাত পর্যন্ত মেলেনি। তবে তা দিল্লির দামের আশেপাশেই থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারের দাম এখন কোন মাসে কত হবে, তা ঠিক হবে গ্যাসের বিশ্ব বাজারের দামের নিরিখে। প্রতি মাসের এক তারিখে সেই দাম জানা যাবে। আগের মাসে বুকিং করা গ্যাস গ্রাহক যদি পরের মাসে পান, তা হলে ডেলিভারির সময় যা দাম থাকবে, তা-ই দিতে হবে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন-এর চিফ ম্যানেজার (এলপিজি সেলস) অভিজিৎ দে বলেন, “যখনই বুকিং হোক, ডেলিভারির সময়কার দামই গ্রাহককে দিতে হবে।” ভর্তুকি-সহ দাম অবশ্য প্রতি মাসে বাড়া-কমা করবে না।
তবে রাজ্যে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডার বিক্রি এখনও শুরু হয়নি বলেই জানাচ্ছেন ডিলার এবং তেল কোম্পানির কর্তারা। কারণ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বছরে ছ’টি সিলিন্ডার মিলবে ভর্তুকির দামে। অক্টোবর থেকে আগামী মার্চ মোট তিনটি সিলিন্ডার ভর্তুকিতে পাবেন গ্রাহকেরা। অর্থাৎ যাঁদের মাসে একটি করে সিলিন্ডার লাগে, তাঁরা ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তুকির দামে সিলিন্ডার পাবেন। জানুয়ারি থেকে ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডার নিতে হবে তাঁদের। গড়িয়ায় আইওসি-র এক ডিলারের বক্তব্য, “আমরা এখনও পযর্ন্ত কাউকে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডার বিক্রি করিনি। মনে হচ্ছে, নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের গোড়ায় ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের বিক্রি শুরু হবে।” দাম নিয়ে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই গ্রাহককে ভোগাচ্ছে বুকিং করার ১৫-২০ দিন পরে সিলিন্ডার পাওয়া। কলকাতার বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের অভিযোগ, সেপ্টেম্বরের ১৭ কিংবা ২০ তারিখে বুকিং থাকা সত্ত্বেও সিলিন্ডার এখনও বাড়িতে পৌঁছয়নি। কেন এই দেরি? ডিলারদের বক্তব্য, “জোগানের কোনও ঘাটতি নেই। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি, ধর্মঘট ও বিশ্বকর্মা পুজো সব মিলিয়ে ছ’-সাতটি কাজের দিন নষ্ট হয়েছে। ‘ডেলিভারিম্যান’-দের বেশ কয়েক জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে জন্যই কারও কারও সময় মতো সিলিন্ডার পেতে সমস্যা হচ্ছে।” রাষ্টায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির বক্তব্য, উৎসবের মরসুমের জন্য অক্টোবর এবং নভেম্বরেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। |
|
|
|
|
|