|
|
|
|
|
|
|
আইনি পরামর্শ |
দলিল-দস্তুর
জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্ট |
|
এত টাকা খরচা করে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনছেন আপনি। একটু শান্তিতে হাত-পা ছড়িয়ে থাকবেন বলেই তো? তা-হলে তা কেনার সময়েই যাবতীয় কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখুন। মিলিয়ে নিন তালিকা ধরে। নইলে কিন্তু গৃহপ্রবেশে নেমন্তন্ন থাকবে উটকো ঝ্যামেলারও। একেবারে খাতায় লিখে ধরে ধরে সাজিয়ে নিন সেই একান্ত জরুরি দলিল-দস্তাবেজের ফর্দ
• বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মূল দলিল (মাদার ডিড)
• যিনি জমি দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ফ্ল্যাট নির্মাতার (ডেভেলপার বা প্রোমোটার) মূল চুক্তিপত্র
• যাঁর ‘কোটা’ (অংশ) থেকে ফ্ল্যাট কিনছেন, তাঁর সঙ্গে করা প্রাথমিক চুক্তিপত্র। সাধারণত নতুন ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে জমিদাতা কিংবা প্রোমোটার এই দু’জনের মধ্যে কারও এক জনের অংশ থেকে কিনতে হবে আপনাকে
• কর সংক্রান্ত যাবতীয় নথি। দেখতে হবে কোনও বকেয়া করের দায় আপনার উপর বর্তাচ্ছে কিনা
• মিউটেশনের প্রমাণপত্র
• সার্চ রিপোট: সহজ কথায়, ওই জমির কমপক্ষে ২১ বছরের ইতিহাস। যাতে বোঝা যায়, ইতিমধ্যেই জমি রেজিস্ট্রি করে বিক্রি করা বা বন্ধক রাখা হয়েছে কি না। অনেক সময় অবশ্য তা করা হয় ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে। এই ধরনের চুক্তি রেজিস্ট্রি অফিসে নথিবদ্ধ থাকে না। ফলে বিষয়টি ধরা পড়ে না সার্চ রিপোর্টে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। আজকাল অবশ্য প্রাথমিক চুক্তিও রেজিস্ট্রি করে নিতে পরামর্শ |
|
দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাকে |
• বাড়ি বা ফ্ল্যাটের চূড়ান্ত নক্শার অনুমোদন (প্ল্যান স্যাংশন)
• দু’ ধরনের পাওয়ার অফ অ্যাটনির্
(১) কাজ শুরুর জন্য জমিদাতার কাছ থেকে প্রোমোটারের নেওয়া ছাড়পত্র
(২) ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরির পর প্রোমোটারের তা বিক্রি করার অধিকার
• পুরসভার অনুমোদন
• কমপ্লিশন সার্টিফিকেট (সিসি): এই শংসাপত্র দেওয়ার দায় কিন্তু প্রোমোটারের। পুরসভার কাছ থেকে জল, বিদ্যুৎ সমেত বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পরিষেবার ছাড়পত্র পাওয়ার উল্লেখ থাকবে এখানেই
• ফেরুল: ফ্ল্যাটে পুরসভা কতটা জল সরবরাহ করবে, তার পরিমাণ |
|
|
|
|
|