গভীর রাতে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে এক দিনমজুরকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে ভক্তিনগর থানার চেকপোস্ট এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি গ্যারাজ থেকে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের নাম শঙ্কর সাহানি (৪০)। বাড়ি প্রকাশনগরে। তাঁর মাথার পিছনে পাথরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি পাথর ও একটি লোহার রড পেয়েছে পুলিশ। ওই দিন রাতে গ্যারাজে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও আরও একজন ছিল। তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “প্রাথমিক ভাবে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।” পুলিশ সূত্রের খবর, শঙ্করবাবু চেকপোষ্ট এলাকায় দিনমজুরির কাজ করতেন। গাড়িতে জিনিসপত্র ওঠানো-নামানো প্রধান কাজ ছিল তাঁর। বেশিরভাগ দিন স্থানীয় একটি ইট ব্যবসায়ীর দোকানেই তাঁকে কাজ করতে দেখা যেত। তিনি বাড়িতে খুব কম যাতায়াত করতেন। বেশিরভাগ দিন মদ্যপ অবস্থায় চেকপোষ্টের ওই গ্যারেজ বা সংলগ্ন এলাকায় ঘুমিয়ে পড়তেন। সোমবার রাতেও তিনি গ্যারাজের ভিতরে যান। সেখানে তাঁকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক রাত পর্যন্ত তাঁকে গ্যারাজে দেখা গিয়েছে। সেই সময় সেখানে ওই গ্যারজের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও স্থানীয় এক যুবক ছিলেন। এর পরেই এ দিন তাঁর দেহ মেলে। আড়াই মাইল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নরেশ গিরি বলেন, “সোমবার দুপুরে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল শঙ্করের। নিজের মতো থাকতেন। কোনও গণ্ডগোলে দেখিনি। অতিরিক্ত মদ্যপ থাকায় রাতে যেখানে জায়গা পেতেন সেখানেই ঘুমোতেন। এভাবে কেন তাঁকে খুন করা হল বুঝতে পারছি না। আমরা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।” শঙ্করবাবুর ছেলে মন্থন জানান, সোমবার দুপুরে বাড়িতে গিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। কিছুক্ষণ বাদেই সেখান থেকে ফের চেকপোষ্টে চলে যান। তিনি বলেন, “বাবার কোনও শত্রু ছিল না। কেন তাঁকে মারা হল বুঝতে পারছি না।” শঙ্করবাবুর আত্মীয় সুরেন্দ্র সাহানি বলেন, “শঙ্করবাবুর স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। কোনও বিষয় নিয়ে বচসার জেরে তাঁকে পাথর দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” |