ডান হাতে ধরা ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারের দিকে বিমর্ষ ভাবে তাকিয়ে তিনি। কথা বলতে গেলে গলা ধরে আসছে। অসহ্য যন্ত্রণায় মুখটা বেঁকেচুরে যাচ্ছে বারবার। টিভি স্টুডিও থেকে তখন ম্যাচের নায়কের মন ভাল করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রশ্নকর্তা কেভিন পিটারসেন। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধের সময় থেকেই যাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও জমাট বেঁধেছে যুবরাজ সিংহ-র। বন্ধুর সঙ্গে কথোপকথনটা তুলে দেওয়া হল:
কেপি: হাই বাডি। কেমন আছো?
যুবরাজ: আরে, কেপি যে। ঠিক আছি এখন। কিন্তু তোমার তো কমেন্ট্রি বক্সে থাকার কথা নয়। মাঠে থাকার কথা।
কেপি: আমি দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে খেলি না! কিন্তু তুমি যে এ ভাবে ফিরে এলে, ম্যান অব ম্যাচ হলে, অনুভূতিটা কেমন হচ্ছে? |
যুবরাজ উত্তরে যা বললেন, তা যে বিশ্বজোড়া ক্যানসার রুগীদের একটু হলেও অক্সিজেন দেবে কোনও সন্দেহ নেই। “আমি যে মাঠে আর কোনও দিন নামতে পারব, সেটাই তো ভাবিনি। পুরোটাই অবিশ্বাস্য ঠেকছে। ম্যান অব দ্য ম্যাচের এই পুরস্কার আমি বিশ্বের সমস্ত ক্যানসার রুগিদের উৎসর্গ করছি। উৎসর্গ করছি ইউ উই ক্যানের রুগিদের। আমার মা-কেও ধন্যবাদ দেব। কিন্তু খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে, আমরা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলাম। ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। আর টি টোয়েন্টি-র ধরণটাই এ রকম।”ক্যানসার রুগিদের মারণ রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার টোটকা তো দিচ্ছেনই। পাশাপাশি জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাও রয়েছে যুবরাজের মাথায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের প্রসঙ্গ উঠলে যুবরাজ বললেন, “ওই ডাইভটা দেওয়ার সময় বয়স যেন অনেকটা কমে গিয়েছিল। পুরনো দিনগুলোয় ফিরে গিয়েছিলাম তখন!” কেমন আছেন এখন? “আস্তে আস্তে ফিট হচ্ছি। যত ম্যাচ খেলব, তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হব। ক্রিজে সেট হতে এখন একটু বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। সেট হওয়ার মতো সময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাচ্ছি না। আশা করি ওয়ান ডে খেললে সেই সময়টা পাব। আরও ম্যাচ প্র্যাক্টিস পাওয়ার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট তো খেলবই।”
|