আফ্রিদিরা কবে ডুববে,
কবে ভাসবে কেউ জানে না
পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে সবাই এখন খুব আফশোস করছেন। ভাবছেন কী হওয়ার কথা ছিল, আর কী হল! সবাই প্রায় ধরে রেখেছিল, অস্ট্রেলিয়া হাসতে-হাসতে আফ্রিদিদের হারিয়ে সেমিফাইনালে যাবে। আর ভারত তখন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেলেও বিশেষ অসুবিধে নেই। শেষ চারের টিকিট পেতে আর সমস্যা হবে না।
কিন্তু টিমটার নাম যে পাকিস্তান! কবে ডুববে, কবে ভাসবে কেউ জানে না! ওরা নিজেরাও বোধহয় বুঝতে করতে পারে না। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, লোকে যে ক্রিকেটকে অনিশ্চয়তার খেলা বলে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হতে পারে পাকিস্তান টিমটা। ইমরান-আক্রম-ওয়াকার-ইনজামাম, কত বড় বড় ক্রিকেটার এসেছে পাকিস্তানে। কিন্তু ওদের নিয়ে অনিশ্চয়তার ট্র্যাডিশন আর গেল না। যে দিন মনে হবে, এ তো সহজ ম্যাচ। অনায়াসে জিতবে। সে দিন দেখবেন, ল্যাজেগোবরে হচ্ছে। আর যে দিন কেউ ওদের হয়ে বাজি ধরবে না, সে দিনই সবার চোখ কপালে তুলে জয় ছিনিয়ে নিয়ে যাবে। মঙ্গলবার যেমন। কে ভেবেছিল, মহাশক্তিধর অস্ট্রেলিয়াকে ওরা ৩২ রানে উড়িয়ে দেবে! নিজেরা চলে যাবে সেমিফাইনালে! ভারতের স্বপ্নের বারোটা বাজিয়ে।
ওয়াটসনকে ফেরানোর পর রাজার উচ্ছাসের ছবি এএফপি-র
রাত সাড়ে সাতটায় যখন ধোনিরা নামছে, তখনই মন বলছিল অঙ্কের বিচারে ভারতের কাজটা শুধু কঠিন নয়, খুব কঠিন। টি-টোয়েন্টিতে ৩২ রানের ব্যবধানে জয় কী মুখের কথা নাকি? ভারত শেষ পর্যন্ত পারলও না। কিন্তু সে জন্য ধোনিদের দোষ দেব না। ওরা সুপার এইটে শুধু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই জঘন্য খেলেছে। সেটা তো এক-আধ দিন হতেই পারে। তবে যে যা-ই বলুন, আমার কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে বিশেষ সুবিধের মনে হয়নি। ওরা ‘ওয়ান ম্যান’ টিম। যে দিন শেন ওয়াটসনের (৮) ব্যাট চলবে না, সে দিন কিন্তু ওদের এমনই সাধারণ দেখাবে। অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে তাই আমি সেমিফাইনালে খুব আশাবাদী নই। বরং পাকিস্তান যদি ব্যাটটা ঠিকঠাক করতে পারে, ওরা কাপ জিতলে অবাক হব না।
পাকিস্তান: ১৪৯-৬ (২০ ওভারে)
অস্ট্রেলিয়া: ১১৭-৭ (২০ ওভারে)

ভারত আজ ম্যাচে নামার আগে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল মানছি। কিন্তু পাকিস্তানকেও তো প্রচণ্ড চাপ নিতে হয়েছে। ওরা জানত, ভারতের কাছে হারের পর যদি শেষ চারেও না উঠতে পারে, তা হলে কপালে দুঃখ আছে। ও দেশের লোক ছেড়ে কথা বলত নাকি? আর সত্যি বলতে কী, পাকিস্তান আজ চ্যাম্পিয়ন টিমের মতোই খেলেছে। ব্যাটিংয়ে বড় কোনও ভুল নেই। আফ্রিদিকে তিন নম্বরে পাঠানোর মতো বোকামি করেনি। আজ সেখানে জামশিদ নাসের (৫৫) মেজাজে খেলল। পোড়খাওয়া রজ্জাককে (১৭ বলে ২২) খেলানোটাও মাস্টারস্ট্রোক। শেষ দিকে ওর ঝড় না থাকলে পাকিস্তান দেড়শোর কাছে পৌছয় না।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.