|
|
|
|
শেষ বেলায় বর্ষার ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে ঘাটতি কমে ৮% |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শুরুতেই দেরি করেছিল অনেকটা। তার পরে খেলছিল ঠুকঠুক করে। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গ-সহ দেশের অনেক জায়গাতেই ভয়াবহ বৃষ্টি-ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে স্লগ ওভারে হাঁকিয়ে ব্যাট চালিয়ে ঘাটতি অনেকটাই পুষিয়ে দিল বর্ষা। পুরোটা অবশ্য মেটাতে পারল না। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মোটামুটি চার মাসের বর্ষাকাল ফুরোনোর মুখে এ বছর দেশে সামগ্রিক ভাবে বৃষ্টির ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে আট শতাংশ।
এর মধ্যে দিল্লির মৌসম ভবন আবার আগামী তিন দিনে অসম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল লক্ষ্মণ সিংহ রাঠোর বলেন, “বর্ষার বিদায় নিতে দেরি হওয়ার কারণ নেই। এই বিদায় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় সেপ্টেম্বরে, চলে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।” অর্থাৎ এখন চলছে বর্ষা-বিদায়ের পালা।
তার আগে, খরার আশঙ্কা অনেকটাই দূর করে দিয়েছে অগস্ট ও সেপ্টেম্বরের বাড়তি বৃষ্টি। জুন ও জুলাইয়ে বৃষ্টির বিপুল ঘাটতি আবহবিদদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল। ভারতে চাষ-আবাদের ৬০ শতাংশ এলাকাই বৃষ্টি-নির্ভর। বর্ষার খামখেয়ালিপনায় এ বার চাষ মার খেয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ঘাটতি কমে আসায় ক্ষতির অনেকটাই সামাল দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের শেষ তথ্য অনুযায়ী চলতি মরসুমে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৮১৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাধারণ ভাবে গড়ে প্রতি বছর এই সময়ে ৮৮৬.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে যাওয়ার কথা। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী দেশের যে-সব জায়গায় ব্যাপক বৃষ্টি-ঘাটতি রয়ে গিয়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ নেই। দক্ষিণবঙ্গে যে-ঘাটতি ছিল, শেষ বেলায় বর্ষা তার অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছে।
প্রতি বছর মোটামুটি ১ জুন মূল ভূখণ্ডে মৌসুমি বায়ুর ঢুকে পড়ার কথা। কিন্তু এ বার সূচনাতেই চূড়ান্ত তুঘলকিপনা করেছে বর্ষা। কেরলে পৌঁছেছে বেশ কয়েক দিন দেরিতে। তার পরেও বর্ষণের উদার দাক্ষিণ্য মেলেনি। জুনে ২৮ শতাংশ এবং জুলাইয়ে ১৩ শতাংশ বৃষ্টি-ঘাটতি দেখে কেন্দ্রীয় সরকার সম্ভাব্য খরার মোকাবিলায় আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল। তবে অগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে যথাক্রমে এক এবং ১১ শতাংশ বেশি। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছিল, ‘এল নিনো’ এ বছর ভারতের বর্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু অগস্ট ও সেপ্টেম্বরের কিছুটা অতিরিক্ত বর্ষণে শেষরক্ষা হয়েছে। দেশের ৬৭ শতাংশ এলাকায় এ বছর স্বাভাবিক কিংবা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। |
|
|
|
|
|