|
|
|
|
মমতাকে ঠেকাতে বিদেশি লগ্নির প্রচারেই কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বড় ম্যাচের জন্য গা ঘামানো শুরু করে দিল কংগ্রেস। আর মহড়া থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়ে গেল।
গত কালই যন্তরমন্তরে দাঁড়িয়ে ইউপিএ-সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গিয়েছেন মমতা। আঞ্চলিক দলগুলির পাল্টা জোট গড়ার ডাকও দিয়েছেন। এখনও সেই বিষয়ে পাল্টা আক্রমণে না গেলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতারা। আজ কংগ্রেসের সদর দফতরেই পঞ্জাবের কৃষকদের নিয়ে এক সভায় কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা এফডিআই নিয়ে মমতার অবস্থানের সমালোচনা করেন। তাঁর যুক্তি, বিদেশি খুচরো ব্যবসায়ী সংস্থাকে দোকান খুলতে দেওয়া হবে কি না, সেই অধিকার রাজ্যের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা পশ্চিমবঙ্গে এদের অনুমতি না দিতেই পারেন। কিন্তু তিনি অন্য রাজ্যকে বাধা দিতে পারেন না। আনন্দ বলেন, “উনি হরিয়ানাকে হুমকি দিতে পারেন না। দিল্লি বা রাজস্থানের হয়েও তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন।” শর্মার ব্যাখ্যা, দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, কৃষকদের স্বার্থেই বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন। সে জন্যই রাজ্যগুলির কাছে নিজের নীতি বেছে নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা চাইবেন না, তাঁদের ভেটো প্রয়োগের অধিকারও নেই।
আনন্দ শর্মার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, মমতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে না গেলেও এফডিআইয়ের পক্ষে জোরালো সওয়াল করতে কসুর করবেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের রণকৌশল হল, কৃষকরাও যে এফডিআইয়ের পক্ষে, তা বোঝানো। আজ তাই পঞ্জাবের কৃষকদের ওই প্রতিনিধি দলটি খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ‘ভারতী কিষাণ ইউনিয়ন’ নামে ওই সংগঠনের কৃষকরা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাহুল গাঁধীর কাছে এফডিআই-এর অনুমতির দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁদের যুক্তি, এর ফলে মূল্যবৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিজেপি শিবির অবশ্য গোটা ব্যাপারটা ‘সাজানো’ বলে বর্ণনা করে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা কৃষকদের বোঝানোর কাজটা এখন থেকেই শুরু করে দিতে চাইছেন। আজ যেমন আনন্দ শর্মা কংগ্রেসের সদর দফতরে কৃষকদের নিয়ে সভা করেছেন, গত কাল তেমনই নিজের বাড়িতে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত।
বস্তুত দেশের মধ্যে দিল্লিতেই প্রথম ওয়ালমার্টের মতো বহুজাতিক সংস্থার বিপণি খুলতে চাইছে কংগ্রেস। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের জন্য শীলা দীক্ষিত তাঁর রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। বহুজাতিক সংস্থাগুলি বিপণি খুলতে চাইলে তার জন্য আগাম জায়গা খুঁজে রাখার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। আনন্দ শর্মা আজ তাই ফের জানিয়ে দিয়েছেন, “এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিছুতেই প্রত্যাহার করা হবে না। কৃষক ও ক্রেতাদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|