|
|
|
|
মুখে কুলুপ বিজেপি-র |
অনাস্থার শরিক হবে না সিপিএম, ইঙ্গিত বৃন্দার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির তীব্র বিরোধী সিপিএম। কিন্তু তৃণমূল এ ব্যাপারে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনলে সম্ভবত তা সমর্থন করবে না তারা। মঙ্গলবার দলের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট ও সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের কথায় এই ইঙ্গিত মিলেছে। বিজেপি-ও এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দিল্লিতে বলেন, মুলায়ম সিংহ যাদব ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে সংসদের আগামী অধিবেশনে তিনি অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন। লোকসভায় ১৯ জন সাংসদের দল তৃণমূল কী করে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে সেই প্রশ্ন তুলে বৃন্দা এ দিন বলেন, “ওঁরা (তৃণমূল) অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ওঁদের তো সেই সংখ্যক সাংসদ নেই। তা সত্ত্বেও যদি অনাস্থা প্রস্তাব আনেন আমরা কী করব, তা আমাদের দলের সংসদীয় কমিটি বসে ঠিক করবে।”
|
বৃন্দা কারাট |
|
মুরলীমনোহর জোশী |
তৃণমূলের পক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব আনা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা মুরলীমনোহর জোশীও। মঙ্গলবার কলকাতায় তিনি বলেন, “অনাস্থা আনতে গেলে যে সংখ্যা প্রয়োজন, তা মমতার রয়েছে কি?” কিন্তু শেষ পর্যন্ত অন্য দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল যদি অনাস্থা আনে, তা হলে কি বিজেপি তা সমর্থন করবে? এই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব না দিয়ে জোশী বলেন, “এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে মমতার কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব আসেনি।”
বিজেপি কৌশলে মমতার জন্য দরজা খোলা রাখলেও সিপিএম যে তৃণমূলের সঙ্গে যাবে না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তপনবাবু। তাঁর বক্তব্য, “দেশের মানুষ জানেন গত ১০ বছর ধরে বামেরা এফডিআইয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে। আমরা কেন মমতার সঙ্গে যেতে যাব?”
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট অবশ্য তৃণমূলের অনাস্থা প্রস্তাব সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে খুচরো ব্যবসায় এফডিআইএ-র বিরোধিতা করছি। সিপিএম এবং তৃণমূল দুটি আলাদা দল। নীতিও আলাদা।” সিপিএমের যে তৃণমূলের পথের শরিক হতে রাজি নয়, কারাটের কথাতেও সেই বার্তা স্পষ্ট। দলীয় সূত্রের বক্তব্য, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাতে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোটে ভাঙনের পূর্ণ সুযোগ নিতে তৎপর সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের বিরোধিতা করতে গিয়ে কোনও ভাবেই তারা তৃণমূলের সঙ্গে একাসনে বসতে রাজি নয়।
অন্য দিকে, সোমবার তৃণমূলের মঞ্চে এনডিএ-র আহ্বায়ক শরদ যাদবের উপস্থিতিকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া এ দিন বলেন, “শরদ যাদব বিজেপি-র হাত ধরে আছেন। আর তাঁরই হাত ধরেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাই বাংলার মানুষ ও সংখ্যালঘু ভাইদের বলছি, সাধু সাবধান।” |
|
|
|
|
|