পুজোর অনুমতি দিতে গত বছরের ‘এক জানালা’ পদ্ধতি না মানার অভিযোগে কমিশনারেটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। একাধিক পুজো কমিটির কর্মকর্তারা তো বটেই শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বিষয়টি নিয়ে কমিশনারেটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সোমবার শিলিগুড়ি কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা থেকে পুজোর অনুমতির জন্য ফর্ম বিলির কাজ শুরু করা হয়। তা জানার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকটি পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। মেয়র বলেন, “পুজোর অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরলতা নিয়ে এসেছিলাম। এক জায়গায় বসে সমস্ত কাজ হত। এবার তিন জায়গায় ঘুরতে হবে। আমি কয়েকটি পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এর মধ্যে একটি মহিলা পরিচালিত পুজোও রয়েছে। কমিশনারেটের সিদ্ধান্তে সবাইকে হয়রানি হতে হবে। আমি বিষয়টি কমিশনারকে জানিয়ে ‘এক জানালা’ পদ্ধতির দাবি করেছিলাম। কিন্তু তা মানা হয়নি।” পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “অনুমতির জন্য যে পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে তাতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। সবকিছু সুন্দর ভাবে করার চেষ্টা হচ্ছে।” কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের নির্দেশে এবারে কমিশনারেট থেকে পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে। এর আগে পুরসভা থেকে ওই অনুমতি দেওয়া হত। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন থানা থেকে পুজো কমিটিগুলিকে ফর্ম বিলি করা হবে। থানার ফর্মের সঙ্গে দমকল, বিদ্যুৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ফর্মও পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হবে। ৬,৭,৮ এবং ৯ অক্টোবর শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে ক্যাম্প তৈরি করে ফর্ম জমা নেওয়া হবে। সেখানে সব দফতরের কর্মীরা থাকবেন। অনুমতি নিতে টাকাসহ একাধিক কাগজ জমা নেওয়া হবে। অপেক্ষাকৃত ছোট পুজোগুলিকে সেখান থেকেই অনুমতির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু বড় পুজোগুলির ক্ষেত্রে ১২ এবং ১৩ অক্টোবর কমিশনার অথবা ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে একটি টিম মণ্ডপগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। দমকল, বিদ্যুৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও ট্রাফিকের অফিসাররা থাকবেন। কোথাও যদি মণ্ডপ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরেই কমিশনারেট থেকে বড় পুজোগুলিকে অনুমতি দেওয়া হবে। শিলিগুড়ি কমিশনারেট এলাকায় ৪৫০টি দুর্গা পুজো হবে। ৮০টি পুজো বড় আকারের। ৩০টি মণ্ডপে ভিড় বেশি থাকে। সেই মণ্ডপগুলি খতিয়ে দেখা হবে। |