প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মে যুক্ত থাকার অভিযোগে দল থেকে সাসপেন্ড তিন সিপিএম নেতার শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করল যুব কংগ্রেস। সোমবার তিন নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার দাবিতে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে যুব কংগ্রেস। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদ থেকে তিন নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু না করা হলে, পরদিন থেকে সংসদে অবরোধ করার হুমকি দিয়েছে যুব কংগ্রেস। ২০১০ সালে জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করা এবং নিয়োগের প্যানেল বাতিল করার দাবিও জানানো হয়েছে। দুই বছর আগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে গঠিত সিপিএমের দলীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দলের রাজ্য কমিটি গত মাসে তিন নেতাকে দল থেকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, তিন নেতার বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হওয়াতেই ওই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সিপিএম প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বীরেশ সিকদার, শিক্ষক সমিতি তথা এবিটিএর জেলা সম্পাদক মনোরঞ্জন ভদ্র এবং দলের জোনাল কমিটির নেতা বিপুল সান্যালকে শাস্তি পেতে হয়। এর পরেই এই তিন নেতাকে সরকারিভাবে শাস্তি দেওয়ার দাবিতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের একাংশ সরব হয়। জলপাইগুড়ি লোকসভা যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএম যখন নিজেরাই সরকারিভাবে ঘোষণা করে বলে দিয়েছে, তাঁদের তিন নেতা শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে যুক্ত। তখন কেন তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারিস্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। জেলা সংসদের চেয়ারম্যান আমাদের কাছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। সেই সময়ে ব্যবস্থা না নিলে লাগাতার সংসদ অবরোধ করা হবে।” প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, তিন সিপিএম নেতা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কীভাবে যুক্ত ছিলেন তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সংসদের চেয়ারম্যান ধর্ত্তিমোহন রায় বলেন, “ যে তিন জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে, তাঁরা কেউ নিয়োগের পরীক্ষার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তবে তাঁরা কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন তা দেখা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।” |