অবশেষে সমস্যার জট কাটল। ডুয়ার্সের শামুকতলা এলাকায় পুজোর আয়োজন করবেন উদ্যোক্তারা। সোমবার ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি প্রদীপকান্তি পাল। তিনি বলেন, “শামুকতলায় পুজোর আয়োজন হবে না শুনে চিন্তায় ছিলাম। শেষ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। পুজো হবে। পুজোর চাঁদা নিয়ে কোনও সমস্যা হলে সেটা দেখার জন্য ৭ জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটি পুজো উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করবে।” ব্যবসায়ীরা চাঁদার না বাড়ানোয় শামুকতলা এলাকার ৯টি পুজো কমিটি এ বার পুজো আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরে ওই সিদ্ধান্তের কথা গত সোমবার মাইকে প্রচার করেন। পুজো উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ব্যবসায়ীরা চাঁদা বাড়াতে রাজি হচ্ছেন না। কিছু বলতে গেলে জুলুমের অভিযোগ তুলে থানায় যাচ্ছেন। ওই পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এর পরেই সমস্যা সমাধানের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় শামুকতলা স্থায়ী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। সংস্থার পক্ষে কমল পাল বলেন, “পুজো হবে না এটা ভাবতেই পারছি না। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য মহকুমাশাসকের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে।” কিন্তু প্রশাসন কবে ব্যবস্থা নেয় সেই ভরসায় না থেকে সোমবার আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের ডেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানেই সমস্যার জট কাটে। সিদ্ধান্ত হয়েছে এলাকার সব ব্যবসায়ী চাঁদা বাড়াবেন। চেম্বার অব কমার্স থেকে বিষয়টি সমস্ত ব্যবসায়ীকে জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই বিষয়ে কোন সমস্যা হলে সেটা দেখবে ৭ জনের কমিটি। ওই কমিটিতে ব্যবসায়ী ছাড়াও আছেন পুজো উদ্যোক্তারা। আজ, মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। পুজো বয়কট কমিটির সভাপতি সুভাষ ঘোষ বলেন, “যে সমস্যা ছিল সেটা মিটেছে। পুজো হবে।” |