এই বাংলার লোক সংস্কৃতি ও লোকশিল্পীদের জন্য কোনও ভাবনা চিন্তা নেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের। অথচ গ্রামাঞ্চলে এক সময় লোক সংস্কৃতির মাধ্যমেই শিল্পীরা অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। তাই নিজেদের দাবি আদায়ে রাজ্যের লোকশিল্পীদের পুনরায় পথে নামার ডাক দিয়ে জঙ্গিপুরের মিঠিপুরে তাঁর নির্বাচনী প্রচার সারলেন সোমবার সিপিএম প্রার্থী মোজাফ্ফর হোসেন।
জঙ্গিপুর উপনির্বাচনে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মোজাফ্ফর এ বার প্রার্থী হয়েছেন। গত বাম জমানায় রাজ্য আদিবাসী ও লোক সংস্কৃতি পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। সাগরদিঘিতে গুমানি দেওয়ানের স্মরণে রাজ্য কবিয়াল মেলাও চালু হয় মূলত তাঁরই উদ্যোগে। |
|
|
জঙ্গিপুরে প্রচারে শাকিল আহমেদ এবং মোজাফ্ফর হোসেন। |
|
এদিন তাঁর সমর্থনে দিনভর মিঠিপুর এলাকায় প্রচার করেন স্থানীয় লোকসংস্কৃতি শিল্পীরা। প্রতিবাদী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অভিনব প্রচার নজর কাড়ে অনেকেরই। মাঝেমধ্যেই হারমোনিয়াম নিয়ে মোজাফ্ফর নিজেও লোক সঙ্গীতের বিভিন্ন কলি শুনিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মানুষের মনে জমে থাকা দুঃখ, যন্ত্রণাকে গানের মাধ্যমে প্রতিবাদ হিসেবে ফুটিয়ে তোলেন লোকশিল্পীরা। গত দেড় বছরে এই সরকার এই শিল্পীদের নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা করেনি। বিগত কয়েক বছরে স্থানীয় সাংসদও লোকশিল্পীদের নিয়ে কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি। আর সেই কারণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি লোকশিল্পীরাও আমার নির্বাচনী প্রচারে সামিল হয়েছেন।” মোজাফ্ফর বলেন, “একজন লোকশিল্পী হিসেবে আমি নিজেকে লোকশিল্পীদের সঙ্গে সবসময় জড়িয়ে রাখি। এই প্রচারে আমি অভিভূত।”
কংগ্রেস অবশ্য লোকশিল্পীদের প্রতি অবহেলার কথা মানতে নারাজ। রঘুনাথগঞ্জের দলীয় বিধায়ক তথা জঙ্গিপুর কংগ্রেসের মহকুমা সভাপতি আখরুজ্জামান বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে লোকশিল্পীদের নিয়ে নাটক করে কোনও লাভ নেই। আলকাপ সম্রাট ঝাঁকসু ও কবিয়াল গুমানি দেওয়ানের নামে ফুটবল টুর্নামেন্টে পুরস্কার চালু করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ই।” |