স্কুলে যাওয়ার পথে দুই ছাত্রীকে অপহরণের ‘গুজব’কে ঘিরে সোমবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল পাঁশকুড়ার মেচগ্রাম এলাকায়। আদপে কারা নিখোঁজ হয়েছে না জেনেই উদ্ধারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় এক ঘণ্টা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “ছাত্রী অপহরণের বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ হাওড়ার ধূলাগড়ি পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু কারও হদিশ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গুজব বলে অনুমান।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেচগ্রাম পূর্ণচন্দ্র বালিকা বিদ্যায়তনের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে স্কুলে আসছিল। ওই কিশোরীর দাবি, স্কুলেরই দুই ছাত্রীকে জোর করে একটি লরিতে চাপিয়ে হাওড়ার দিকে নিয়ে চলে গিয়েছে কয়েকজন। তার অভিযোগ পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পাঁশকুড়া থানায় জানান। দ্রুত তল্লাশি শুরু করে পুলিশও। পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলার বিভিন্ন থানাকে সতর্ক করা হয়। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ বিভিন্ন রাস্তায় তল্লাশিও শুরু হয়।
এ দিকে ছাত্রী অপহরণের খবর রটে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। ওই স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে অপহৃতা ছাত্রীদের উদ্ধারের দাবিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে ছাত্রীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর করেন। কিন্তু নিখোঁজ বলে কারও হদিস মেলেনি। স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা পাঁশকুড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী বলেন, “বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছাত্রীদের প্রত্যেকের বাড়িতে পুলিশের সঙ্গে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। কেউ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায়নি। ঘটনাটি গুজব বলেই মনে হচ্ছে।” |