|
|
|
|
কলেজে সংঘর্ষ, অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে একাধিক কলেজে। মনোনয়নপত্র তোলাকে ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত। কোথাও ছাত্র পরিষদের (সিপি) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। কোথাও টিএমসিপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে এসএফআই। ডিএসও কর্মী-সমর্থকেরাও আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
সোমবার দুপুরে ডেবরা কলেজ ক্যাম্পাসে অশান্তি হয়েছে। কয়েকজন সিপি’র কর্মী-সমর্থককে টিএমসিপি’র কর্মী-সমর্থকেরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ডেবরা- বালিচক রাস্তা অবরোধ করে কংগ্রেস। নেতৃত্ব দেন অশোক হাজরা, পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য প্রমুখ। খবর পেয়ে ডেবরায় আসেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “পুলিশের উচিত দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা। কলেজে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। এ কোনও রাজনীতি?” সিপি’র অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা হয়েছে। তাঁদের মারধর করা হয়েছে। খড়্গপুর কলেজে টিএমসিপি’র সঙ্গে এসএফআইয়ের গোলমাল হয়েছে। কয়েকজন ছাত্র জখম হয়েছেন। মনোনয়নপত্র তোলাকে ঘিরে গোলমালের সূত্রপাত। বেলদা কলেজে আবার ডিএসও’র সঙ্গে টিএমসিপি’র সংঘর্ষ হয়েছে। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র তোলার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময় একদল টিএমসিপি’র কর্মী- সমর্থক ডিএসও’র কর্মী- সমর্থকদের উপর হামলা করে। তাঁদের মনোনয়ন তুলতেই দেওয়া হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ডিএসও। বেলদা কলেজে ভোট বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন এই ছাত্র সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব। সিপি’র জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “ডেবরা কলেজে পুলিশের সামনেই আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। আমরা দেখছি, সুবিধাবাদী- ক্ষমতালোভী কিছু ছাত্রছাত্রী টিএমসিপি’র সঙ্গে রয়েছে। এদিন বহিরাগতরাই কলেজে এসে অশান্তি করেছে। কলেজে অশান্তি এড়াতে হলে আগে বহিরাগতদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে।” এসএফআইয়ের খড়্গপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক রাজীব মন্ডল বলেন, “কলেজ ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।” ডিএসও’র জেলা সম্পাদক ভীম মন্ডল বলেন, “বিভিন্ন কলেজে একশ্রেণীর শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী টিএমসিপি’র আক্রমণে মদত দিচ্ছে।” এ সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি’র জেলা চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গিরি’র বক্তব্য, “পালাবদলের আগে অনেক কলেজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। এখন তা রয়েছে। সুষ্ঠ ভাবেই সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার যে সব কলেজে গোলমাল হয়েছে, সেখানে কোথাও আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা শুরুতে অশান্তি করেননি।” |
|
|
|
|
|