পণ্য নামাবে কে
বার্থে অচলাবস্থা,তবু ফের জাহাজ ঢোকানোয় বিতর্ক
ণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি কাজ বন্ধ রেখেছে। তা সত্ত্বেও হলদিয়া বন্দরের দু’নম্বর বার্থে কোকিং কোল বোঝাই একটি জাহাজকে ঢোকানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হলদিয়া বন্দরের দুই এবং আট নম্বর বার্থে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করার কথা এবিজি-র। কিন্তু ওই সংস্থা কাজ বন্ধ রাখায় দু’নম্বর বার্থের জাহাজ থেকে কারা পণ্য নামাবে, তা নিয়ে সব পক্ষই অন্ধকারে।
পণ্য খালাস না-হওয়ায় শনিবার রাতে কোকিং কোল বোঝাই একটি জাহাজকে দু’নম্বর বার্থ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া আসা কোকিং কোল বোঝাই অন্য একটি জাহাজকে কোন যুক্তিতে দু’নম্বর বার্থে ঢোকানো হল, জাহাজি মহলে সেই প্রশ্ন উঠেছে। বন্দর সূত্রের খবর, এবিজি শীঘ্রই ফের কাজ শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং সেই আশাতেই দু’নম্বর বার্থে জাহাজটি ঢোকানো হয়েছে। বার্থে ঢোকার পরে কোনও জাহাজ সেখানে যত বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকবে, তাকে তত বেশি টাকা গুনাগার দিতে হবে। দু’নম্বর বার্থে ঢোকা নতুন জাহাজে পণ্য খালাস শুরু না-হলে কেন তাদের বেশি টাকা গুনতে হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছে জাহাজি মহল।
বন্দর-কর্তৃপক্ষের আশা, কাল, বুধবার সব পক্ষকে নিয়ে হলদিয়ায় যে-বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখানে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দুই বিবদমান পক্ষ এবিজি এবং তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, সোমবার পর্যন্ত তা পরিষ্কার নয়। ওই দু’পক্ষ বৈঠকে না-গেলে হলদিয়া বন্দরের বর্তমান সঙ্কট যে কাটবে না, সেই ব্যাপারে সব মহলই একমত। ২৭ সেপ্টেম্বরের বৈঠক ওই দু’পক্ষের অনুপস্থিতির কারণেই কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তার উপরে দু’নম্বর বার্থে নতুন জাহাজ ঢোকানোর পরে সেখানে পণ্য খালাস না-হওয়ায় জাহাজি মহলে ভূল বার্তা যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। জাহাজি মহলের একাংশের আশঙ্কা, এর ফলে হলদিয়া বন্দরে জাহাজ আসা আরও কমবে।
হলদিয়া বন্দরের অবস্থা এ দিনও স্বাভাবিক হয়নি। অন্যতম আধিকারিক রমাকান্ত বর্মনের বদলির বিরুদ্ধে সোমবার হলদিয়া বন্দরের আধিকারিকদের একাংশ কালো ব্যাজ পরে ধিক্কার দিবস পালন করেন। রমাকান্তবাবু এ দিন বলেন, “বন্দরের আধিকারিকেরা আমার পাশে আছেন। আমার বদলির নির্দেশের বিরুদ্ধে ওঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এতেও কাজ না-হলে সকলে গণছুটিতে যেতে প্রস্তুত।” তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার যে-অভিযোগ উঠেছে, সেই ব্যাপারে রমাকান্তবাবু বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
ছেদ পড়েনি শ্রমিক-বিক্ষোভেও। এবিজি-র ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা এ দিনও সকাল থেকে টাউনশিপে বন্দরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থালা-বাটি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.