|
|
|
|
|
পাকিস্তান কেঁপেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা
কিন্তু অনেক শৃঙ্খলাবদ্ধ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় |
|
পাকিস্তান ম্যাচ ভারত দুর্দান্ত খেলল। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেতার রেকর্ড ধরে রাখল। একেবারে একশোয় একশো! আগেও বলেছি, গত দশ বছরে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভাল খেলেছে ভারত। আর পাকিস্তান যদি ভারতের সামনে এ ভাবেই চাপে পড়ে যায়, তা হলে আফ্রিদিদের পক্ষে ওই রেকর্ডটা বদলানো কঠিন।
ভারত আসলে পাকিস্তানকে মেরে দিচ্ছে মানসিকতায়। দু’দলের ফারাকটা খুব বেশি থেকে যাচ্ছে। ভারতের সামনে পাকিস্তান সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছে ওদের ব্যাটিং নিয়ে। আমরা সব সময় পাক বোলিং কতটা ভাল সে সব নিয়েই কথা বলি। কিন্তু এই যদি ওদের ব্যাটিংয়ের হাল হয়, তা হলে ওদের বোলারদের পক্ষে ম্যাচ জেতানো খুব কঠিন। মহম্মদ হাফিজের ক্যাপ্টেন্সিও সাধারণ লেগেছে। ধোনি ওকে অনায়াসে টেক্কা দিয়ে গেল।
শোয়েব মালিক আর উমর আকমল ছাড়া কাউকে দেখে মনে হয়নি ব্যাটিংয়ে নিয়ন্ত্রণ বলে কিছু আছে। ভারতকে সব সময়ই শান্ত দেখিয়েছে। পাকিস্তান সেখানে ঠকঠক করে কেঁপেছে। রবিবার দু’দলের সবচেয়ে বড় ফারাক এটাই ছিল। মাঠে ভারতীয়দের শরীরী ভাষা অসাধারণ ছিল। প্রথম ওভারেই যুবরাজের ডাইভ সেটা বুঝিয়ে দেয়। এক কথায় বিশ্ব মানের ফিল্ডিং।
ভারতের গ্রুপে কিন্তু এখনও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা টিম। ওদের সেমিফাইনালে যাওয়া উচিত। যদিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে যা কিছু ঘটে যেতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেরা ফর্মের ধারেকাছেও দেখাচ্ছে না। ভারত ম্যাচটা ওদের কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচ। ধোনিদের অবস্থাও এক। ওরা যদি আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে ভারত চাইবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারুক পাকিস্তান।
রবিবার ধোনিকে সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে নামতে দেখলাম। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ও এটা চাইছিল। আমি নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ও একই স্ট্র্যাটেজি নেবে। সে ক্ষেত্রে রান তাড়া করায় সুবিধা হবে। বিভিন্ন ম্যাচের রেজাল্ট থেকে একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার স্লো পিচে যারা প্রথমে ব্যাট করছে তারা শেষ পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে। মঙ্গলবার ম্যাচের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চিন্তার বেশ কিছু বিষয় থাকছে। টুর্নামেন্টে ওদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য কালিসরা নিশ্চয়ই ভারতকে ধন্যবাদ দেবে। কিন্তু ওদের যদি শেষ চারে উঠতে হয়, মঙ্গলবার অসাধারণ খেলতে হবে। এই টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ওদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ ওরা বেশি বোলার খেলাতে চাইছে।
আর ভারত? ওদের কাছে ম্যাচটা পরীক্ষার মতো। দক্ষিণ আফ্রিকানরা কিন্তু পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ। ওদের ফাস্ট বোলাররাও ভাল ফর্মে আছে। যা দেখছি, দক্ষিণ আফ্রিকানরা আরও একটা চাপের পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে। এবং মঞ্চটা বিশ্বকাপ। ওদের নতুন অধিনায়ক এবি ডে’ভিলিয়ার্সের হাত ধরে কি ওদের ভাগ্য পাল্টাবে? দেখা যাক! |
|
|
|
|
|