বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ১৯টি বাঘের সন্ধান মিলেছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন সোমবার রাজাভাতখাওয়ায় ‘টাইগার কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের’ এক সভায় ওই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “সম্প্রতি সমীক্ষায় পাওয়া বাঘের বিষ্ঠা পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে বক্সা জঙ্গলে ১৫টি পুরুষ এবং ৪টি স্ত্রী বাঘ রয়েছে।” কিন্তু ওই জঙ্গলে কেন বাঘের দেখা মেলে না! বনমন্ত্রী ওই প্রশ্নের উত্তর সোজাসাপ্টা না জানিয়ে ঘুরিয়ে জানান, বক্সার জঙ্গলে যে বাঘ আছে তার যথেষ্ট প্রমান মিলেছে। ওই প্রাণীরা গভীর জঙ্গলে থাকে। এ ছাড়াও পাশে অসম ও ভুটানের জঙ্গল সেখানেও চলে যায়। তাই দেখা মেলে না। তিনি বলেন, “আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য ডিসেম্বর মাসে ফের বাঘসুমারি হবে বক্সা জঙ্গলে।” |
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে যে বাঘ সুমারি হয় সেখানে ১৯টি বাঘের সন্ধান মেলে। তাই বনকর্তাদের আশা ডিসেম্বর মাসের সুমারিতে আরও নতুন শাবকের সন্ধান মিলতে পারে। এ দিন জঙ্গল পাহারা ও পর্যটন নিয়ে বনমন্ত্রী রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতি বিক্ষণ কেন্দ্রে ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বনমন্ত্রী জানান, এ দিন সভায় বাঘ সংরক্ষণের পাশাপাশি বনবস্তিবাসীদের উন্নয়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছে বক্সা জঙ্গল এলাকার নদী থেকে বোল্ডার উত্তোলন, জঙ্গলে ভ্রমণের প্রবেশ মূল্য ও কাঠ নিলাম থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে সেটা বনবস্তিবাসীদের উন্নয়ন ও জঙ্গল সংরক্ষণের কাজে ব্যয় করা হবে। কর্মী কম থাকায় জঙ্গল পাহারার সমস্যার কথাও বৈঠকে উঠেছে। বনমন্ত্রী বলেন, “বনসুরক্ষা কমিটির কয়েকজন সদস্যকে দৈনিক মজুরির ভিক্তিতে জঙ্গল পাহারার কাজে লাগানো হবে। ফলে কাঠ চুরি কমবে।” বন দফতর জানিয়েছে, পুজোয় পযর্টকদের জন্য রায়মাটাং ও ভুটানঘাট খুলে দেওয়া হবে। ভ্রমণের সুবিধার জন্য এলাকার বিবরণ দিয়ে বুকলেট বিলি হবে। বনমন্ত্রী জানান, বক্সার জঙ্গলে চারটি নতুন নজর মিনার তৈরির কাজ চলছে। ডিসেম্বর নাগাদ সেগুলি খুলে দেওয়া হবে। পযর্টন দফতর ও বন উন্নয়ন নিগমের তরফে কয়েকটি কটেজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। |