|
|
|
|
বাঁচালেন রেলকর্মী |
চাকায় ধোঁয়া, কামরা ছেঁটে ফের ছুটল দুরন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুম্বই-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসকে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়ে দিল এক স্টেশনমাস্টারের সজাগ দৃষ্টি। ধোঁয়া বেরোতে থাকায় সোমবার বিকেলে ওই ট্রেনের একটি কামরাকে আলাদা করে দেওয়া হয়। যাত্রীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
রেল সূত্রের খবর, মুম্বই থেকে হাওড়ার দিকে আসার সময় ট্রেনটির একটি কামরার চাকায় ‘ব্রেক-শু’ আটকে গিয়ে অ্যাক্সেল গরম হয়ে ধোঁয়া বেরোতে হতে থাকে। এ দিন বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনে মহালিমারুপের স্টেশনমাস্টার এস কে গোস্বামী সেটা দেখতে পান। কিন্তু তিনি কিছু করে ওঠার আগেই দুরন্ত এক্সপ্রেস ওই স্টেশন ছেড়ে এগিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন আট কিলোমিটার দূরে সিনির স্টেশনমাস্টারকে।
ট্রেনটিকে থামানোর জন্য সিনির স্টেশনমাস্টার সিগন্যাল লাল করে দেন। থেমে যায় ট্রেন। সিনি স্টেশনে রেলকর্মীরা পরীক্ষা করে দেখেন, বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণির বি-৩ কামরার চাকায় ব্রেক-শু আটকে আছে। কিন্তু সেটিকে তখন ছাড়ানো যায়নি। তাই কামরাটিকেই ট্রেন থেকে কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রেলকর্তারা। ওই কামরার কিছু যাত্রীকে অন্য কামরায় জায়গা দেওয়া হয়। ওই দুরন্তের পিছনেই আসছিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। কেটে দেওয়া কামরার কিছু যাত্রীকে তাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ট্রেনটি সিনি থেকে হাওড়ার দিকে ফের রওনা দেয়।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “মহালিমারুপের স্টেশনমাস্টার সতর্ক থাকায় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।” ওই স্টেশনমাস্টারকে পুরস্কৃত করার কথা ভাবছেন রেলকর্তারা। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটল কেন? রেলকর্তাদের মতে, হাওড়া-মুম্বই দুরন্তের সব কামরাই নতুন এলএইচবি (লিঙ্ক হফম্যান বুশ) প্রযুক্তির। তা সত্ত্বেও ওই কামরায় কী ভাবে ব্রেক-শু আটকে গেল, সেটাই তাঁদের ভাবাচ্ছে। রেলকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না-হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। সৌমিত্রবাবু জানান, কেন এটা হল, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। |
|
|
|
|
|