|
|
|
|
ঘাসফুল শাড়ি, ফিল্মি গান, টুটা হিন্দি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এক টুকরো ভারত যেন উঠে এল যন্তর-মন্তরের ধর্নাস্থলে।
ভিড় অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের কোনও জনসভার সঙ্গে তুলনীয় নয়। কিন্তু আজ রাজধানীতে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় গোটা দেশের যে মিশ্র মুখ দেখা গেল, তা দলের পনেরো বছরের ইতিহাসে বিরল বলেই মানছেন অনেকে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সেখানকার তৃণমূল বিধায়কেরা নিয়ে এসেছেন সমর্থক। একই ভাবে বাসে-ট্রাকে করে বহু মানুষ এসেছেন হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ থেকেও। অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে আসা মহিলারা তৃণমূলের ঘাসফুল আঁকা শাড়িতে গোটা সভাস্থল ভরিয়ে তোলেন। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসার অনুচ্চারিত ঘোষণা যেন ছিল সভার মেজাজে। যা দেখে দৃশ্যতই আপ্লুত তৃণমূলের নেতারা। মমতার কথায়, “চাইলে লাখ, লাখ সমর্থক পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিয়ে আসতে পারতাম। ব্যবস্থা করতে পারতাম বিশেষ ট্রেনেরও। তা করিনি। বিষয়টি শুধু রাজ্যের নয়। দিল্লিতেও অনেক কর্মী-সমর্থক আছেন।” |
|
ছবি: এপি। |
আর তারই যেন প্রমাণ মিলেছে যন্তর-মন্তর সংলগ্ন সব রাস্তার প্ল্যাকার্ড-হোডিং-এ। সবই হিন্দিতে। মমতা নিজে তো বটেই, প্রত্যেক সাংসদ যথাসাধ্য চেষ্টায় আগাগোড়া বক্তৃতা দিয়েছেন হিন্দিতে। সৌগত রায় তো যথেচ্ছ হিন্দি সিনেমার গান ব্যবহার করলেন তাঁর বক্তৃতায়। তৃণমূলের শক্তি বোঝাতে গিয়ে বললেন, “হাম কিসি সে কম নেহি!” তাঁর নেত্রী আবার গোড়াতেই বলে নিয়েছিলেন “আমার টুটা ফুটা হিন্দির জন্য ক্ষমা করবেন।” সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেক নেতা গত কয়েক দিন ধরে রপ্ত করেছেন হিন্দি বাচন। তাই সভায় প্রত্যেকেই মোটামুটি উতরেও গিয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সমর্থকদের অধিকাংশের গায়ে ছিল তৃণমূলের প্রতীক আঁকা টি-শার্ট। তাতে এক দিকে মমতা, অন্য দিকে সভার অন্যতম আয়োজক তথা দলের রাজ্যসভা সাংসদ কে ডি সিংহের ছবি। ভিড় এক সময় আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয় সভায়। যা দেখে এক বার মেজাজও হারান মমতা। মঞ্চে বক্তৃতা দিতে দিতেই বলেন, “কেউ কেউ পরিকল্পনামাফিক বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন। আমাদের কাছে খবর আছে, এমনটা হতে পারে। এটা করবেন না।” |
|
|
|
|
|