পুজোর বাজার করতে নিউ মার্কেটে এসে গত বছর নিজের মানিব্যাগ খুইয়েছিলেন ব্যারাকপুরের অসীম ভৌমিক। একই অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল বরাহনগরের গৃহবধূ শ্যামলী দাসকেও। শুধু তাঁরাই নন, একই হাল হয়েছে আরও অনেকেরই।
ভিড়ের মধ্যে এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা রুখতে নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হল ক্লোজ্ড সার্কিট টিভি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চত্বরে মোট আটটি সিসিটিভি বসেছে। ওই সব সিসিটিভি-র ফুটেজ প্রতিনিয়ত নজরদারির জন্য নিউ মার্কেট থানায় খোলা হয়েছে একটি ‘ক্যামেরা কন্ট্রোল রুম’ও। ওই কন্ট্রোল রুমে সব সময়ে দু’জন করে পুলিশকর্মী ডিউটিতে থাকছেন। নিউ মার্কেট এলাকার বড় বড় বাজারগুলির বাইরে মূলত এই সিসিটিভি-র মাধ্যমেই এখন থেকে নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশকর্তাদের মতে, প্রতি বছর পুজোর সময়ে নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকানে ভিড় উপচে পড়ে। রবিবার বা ছুটির দিন সেই ভিড় আরও বাড়ে। ওই সব সময়ে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পকেটমার ও ছিনতাইবাজদের উপদ্রব লেগেই থাকে। পুলিশকর্তাদের দাবি, সিসিটিভি-র মাধ্যমে নজরদারি চললে এ ধরনের অপরাধ ঠেকানো যাবে। পাশাপাশি, এ বার প্রচুর সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র নিউ মার্কেট এলাকাই নয়, মধ্য কলকাতার বিভিন্ন মার্কেট-কমপ্লেক্সের সামনেও বসানো হবে সিসিটিভি। কলকাতা পুলিশের ডি সি (সেন্ট্রাল) দেবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, “নিউ মার্কেটের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট-কমপ্লেক্সে এবং জনসমাগম বেশি হয়, এমন ১৫০টি জায়গায় বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।”
পুলিশ জানায়, আগেও অপরাধ ঠেকাতে এবং নজরদারির জন্য শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি বসানো হয়েছিল। তা করা হয়েছিল মূূলত কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে। কিন্তু তার মধ্যে বেশির ভাগই খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। কোথায় কোথায় এই ক্যামেরা বসানো হবে, তার তালিকাও এর মধ্যেই তৈরি করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি বসানোর জন্য বেশ কয়েকটি মার্কেট-কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই সব বাজারের ভিতরে সিসিটিভি থাকলেও সাধারণত বাইরের দিকে সিসিটিভি-র মাধ্যমে নজরদারি চলে না। তাই ওই ধরনের বড় বড় বাজারের মালিকদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। |