ইংরেজ সরকারের পুলিশের গুলিতে দুই বিপ্লবী হত্যার ঘটনার স্মরণে রবিবার মানবাজার থানা চত্বরে শহিদ দিবস পালিত হল। কিন্তু প্রতিবারের মতো লোকসেবক সঙ্ঘ ছাড়াও এ বার মানভূম চেতনা মঞ্চ নামের একটি গোষ্ঠী মানবাজার থানা চত্বরে অনুষ্ঠান করায় বিতর্ক দানা বেধেছে। লোকসেবক সঙ্ঘের সচিব সুশীল মাহাতো জানান, ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আশ্বিন থানা ঘেরাও করতে গিয়ে মানবাজার থানা চত্বরে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন গোবিন্দ মাহাতো ও চুনারাম মাহাতো। তাঁর দাবি, “ওঁদের স্মরণে ১৯৪৭ সালের পর থেকে আমরা শহিদ দিবস পালন করে আসছি। তাঁদের দেহ যেখানে পড়েছিল, সেখানে মাটির বেদি তৈরি করে মালা দেওয়া হয়। এতদিন যাঁরা আমাদের অনুষ্ঠানেও আসেননি, তাঁরা কেন থানার গেটের কাছে পাকা বেদি তৈরি করে অনুষ্ঠান করল জানি না।” মানভূম চেতনা মঞ্চের প্রধান ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অজিত মাহাতো অবশ্য দাবি করেছেন, “ওই শহিদদের স্মরণের ইচ্ছা দীর্ঘদিনের। এ বার কিছু শিক্ষানুরাগীকে সঙ্গে পাওয়ায় অনুষ্ঠান করলাম।”
|
গাছ থেকে পেঁপে পাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে জেঠতুতো দাদাকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। মৃতের নাম অজিত মুর্র্মু (৫০)। বোরো থানার কেন্দাজোড় গ্রামে শনিবার রাতের ঘটনা। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অজিতবাবুর খুড়তুতো ভাই রাজেন্দ্র মুর্মুকে গ্রেফতার করে। মৃতের স্ত্রী লক্ষীমনিদেবীর অভিযোগ, “শনিবার রাতে রাজেন্দ্র গাছ থেকে ছোট পেঁপে পাড়ছিল। আমার স্বামী বাধা দেওয়ায় রাজেন্দ্র ওকে ঠেলে ফেলে দিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে।” রাজেন্দ্র অবশ্য দাবি করেছেন, আমাকেই দাদা মারতে এসেছিল। আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলাম।” তবে এই ঘটনার পরে পড়শিদের একাংশ তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “বোরোতে খুনের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
|
আনন্দমঠ হোম থেকে উধাও হয়ে যাওয়া দুই কিশোরীর মধ্যে এক জনের খোঁজ মিলল। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়া সদর থানা এলাকা থেকে প্রিয়াঙ্কা রায় নামে এই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেই গত বুধবার ভোরে হোমের ঘেরাটোপ থেকে উধাও হয়ে যাওয়া বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকার টুম্পা ঘোষের অবশ্য এখনও হদিস মেলেনি। হোম কর্তৃপক্ষের গাবি, তাঁদের কাছে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছে, হোমের মেরামতির জন্য বেঁধে রাখা বাঁশ ব্যবহার করেই তারা পালিয়েছিল।
|
রবিবার ছুটির দিনে ব্যাঙ্কের ভিতর ম্যানেজারের গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার হল। বিষ্ণুপুর শহরের ময়রাপুকুর এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম সর্বাণীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৯)। বিষ্ণুপুরের শালবাগান এলাকায় তাঁর বাড়ি।
|
শনিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল জগদীশ মণ্ডল (৫৫) এক প্রৌঢ়ের। ইঁদপুরের বাসিন্দা। |