দাবিমত শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইক না পেয়ে দাদা, বৌদির সাহায্যে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পম্পা দাস দেবনাথ (২৩)। রাতেই তাঁর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী গৌতম দাসকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অপর অভিযুক্ত রামবাবু দাস এবং নিয়তিদেবীকে পুলিশ খুঁজছে। মাত্র দেড় মাস আগেই পম্পাদেবীর সঙ্গে অভিযুক্তের বিয়ে হয়। ধৃত গৌতমবাবু পেশায় বাস কর্মী। তিনি প্রথমে পুলিশের কাছে দাবি করেন, স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বালুরঘাট থানার আইসি মনোজ চক্রবর্তী জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে ওই বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযুক্তের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু মৃতদেহ ঘরের খাটে শোয়ানো অবস্থায় ছিল। গলায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। বিছানা থেকে উদ্ধার হওয়া চুল দেখে মনে হচ্ছে, ধস্তাধস্তি হয়েছে। এই সমস্ত কিছুর নমুনা সংগ্রহ করে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দাদা ও বৌদিকে খোঁজা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা পলাতক ওই দুই অভিযুক্ত ঘটনার সময় চকভৃগু এলাকায় অভিযুক্ত গৌতমের বাড়িতেই ছিলেন। পরে তারা পালিয়ে যান। শুক্রবার ধৃত গৌতমের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং বধূ হত্যার মামলা রুজু করে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন তিনি বলেন, “এমন কেমন করে হল জানি না।” গত ৩ অগস্ট বালুরঘাটের অমৃতখন্ডের বাসিন্দা পম্পাদেবীর সঙ্গে চকভৃগু এলাকার মধ্যপাড়ার বাসিন্দা গৌতমের সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয়। মৃতার বাব গোপাল দেবনাথ হাটে হাটে বিদ্যুতের সরঞ্জামের ফেরি করেন। এদিন তিনি জানান, ধারদেনা করে চাহিদামত পণ হিসাবে ৬০ হাজার টাকা, ৬ ভরি সোনা, খাট, আলমারি, রঙিন টিভি বিয়েতে দিয়েছিলাম। বিয়ের রাতেই বাইকের দাবি প্রথমে তোলেন গৌতমের বৌদি। বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর ওই দাবিতে অত্যাচার চলত। গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা, গৌতমের দাদা বৌদি এলে অত্যাচার বাড়ত। সপ্তাহখানেক আগে মেয়ে বাড়ি আসে। দ্রুত বাইক কেনার চেষ্টা করছিলাম। এর জন্য মেয়েকে ওরা খুন করবে ভাবতেও পারছি না। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পাই। জচকভৃগু মধ্যপাড়ার বাসিন্দারা জানান, বাবা-মা’র মৃত্যুর পর বাড়িতে একা থাকতেন গৌতম। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। এলাকায় তার সুনাম ছিল না। |