নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
অস্ত্রোপচারের সময় গর্ভস্থ শিশুর পা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ১০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল হুগলি ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
আদালত সূত্রের খবর, ২০০৮ সালের ১৪ অগস্ট প্রসব যন্ত্রণা হওয়ায় ধনেখালির ভাসতারার বাসিন্দা কাকলি মুখোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয়েছিল স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে। ওই দিনই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময়ে শিশুর পায়ের ক্ষতি হয়।
বিপদ বুঝে ওই অবস্থাতেই কাকলিদেবীকে অপারেশন টেবিলে ফেলে পালিয়ে যান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। কয়েক ঘণ্টা পরে অন্য এক চিকিৎসক শিশুকন্যাটিকে ভূমিষ্ঠ করান। তবে, প্রসূতির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কাকলিদেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে পাঠানো হয় বর্ধমানেরই একটি নার্সিংহোমে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকায় কাকলিদেবী ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে ঢাকুরিয়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পরে কাকলিদেবী সুস্থ হন। কিন্তু শিশুটির পায়ের ক্ষতি হয়। এখনও সে
ভাল করে হাঁটতে পারে না বলে জানিয়েছেন কাকলিদেবী।
২০০৯ সালে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন মুখোপাধ্যায় পরিবার। তাঁদের দাবি, ধনেখালির নার্সিংহোমে ভুল চিকিৎসার জন্যই মেয়ের এই দশা। শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণা করে হুগলি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের প্রধান বিচারক নারায়ণচন্দ্র চক্রবর্তী জানান, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কাকলিদেবী এবং তাঁর বাড়ির লোকের চিকিৎসায় প্রচুর হয়রানিও হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। টাকা দিতে দেরি হলে বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে। |