অন্ধকারে হাসপাতাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়েক ঘন্টার জন্য অন্ধকারে ডুবে রইল জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। আড়াইশো শয্যার ওই হাসপাতালে এই মুহূর্তে অন্তত সাড়ে তিনশো রোগী ভর্তি রয়েছেন। সমস্ত ওয়ার্ড অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালের জেনারেটার খারাপ থাকায় এই পরিস্থিতি হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে আলোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর আত্মীয়রা। অসুবিধেয় পড়েন প্রসূতি বিভাগের রোগিনীরা। সেখানে ভর্তি রয়েছেন অন্তত ১৫৫ জন প্রসূতি। লক্ষ্মী রবিদাসের মেয়ে সেখানে ভর্তি রয়েছেন। ভর্তি রয়েছেন তসিমা বিবির বোন। তসিমা বলেন, “শুক্রবার সকালেও প্রায় তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না হাসপাতালে। সন্ধ্যে পর্যন্ত জেনারেটার সারানোর কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।” বহু চেষ্টা করেও সুপারের খোঁজ মেলেনি। মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী বলেন, “হাসপাতালের জেনারেটর খারাপ হয়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি। সুপারকে বলা হয়েছে পরিস্থিতি সামলাতে যত দ্রুত সম্ভব জরুরি ভিত্তিতে জেনারেটার ভাড়া করতে। তাতে কিছুটা সময় লাগছে।” রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় অন্ধকারের মধ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে অন্তত ২২ জন রোগীর স্যালাইন ও অক্সিজেন চলছে। গোটা হাসপাতালের অন্ধকার কাটাতে পরিজনরাই রোগীদের বিছানার পাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখেছেন।
|
পরিষেবায় নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
শয্যার অভাবে প্রায় এক সপ্তাহ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ‘পোস্ট নিওনেটাল’ ওয়ার্ডে প্রসূতিদের পরিষেবা দিতে সমস্যায় কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ডে যত শয্যা তার প্রায় তিন গুণ প্রসূতি ও সদ্যোজাতকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছে। একটি শয্যায় তিন জনকে রাখা হয়েছে। ওয়ার্ডের মেঝেতে সার দিয়ে পড়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন প্রসূতিরা। ওই পরিস্থিতিতে প্রায়দিন রোগীর পরিবার থেকে নিরাপত্তার অভাব ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। হাসপাতালের সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “পরিকাঠামোর অভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে।” প্রসব হওয়ার পরে প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের পোস্ট নিওনেটাল ওয়ার্ডে দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানো হয়। ওয়ার্ডে মাত্র ৪০টি শয্যা আছে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ৯৪ প্রসূতি সদ্যোজাতকে নিয়ে ভর্তি আছেন। একটি শয্যায় তিন জনকে রাখা হয়েছে। দু’টি শয্যা জোড়া দিয়ে পাঁচজন প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের রাখা হয়েছে। শয্যা না পেয়ে ২০ জন প্রসূতির মেঝেতে। ওয়ার্ডের নার্স পিঙ্কি সাহা বলেন, “মেঝেতে প্রসূতিদের রাখার জন্য হাঁটাচলা করা যায় না। একই শয্যায় একাধিক প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের রাখার জন্য প্রসূতিদের চিহ্নিত করে ওষুধ, অক্সিজেন ও স্যালাইন দিতে সমস্যা হয়।” স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ কেশবচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের এ ভাবে রাখলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।” |