স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় স্বামীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়া এলাকার ঘটনা। নিগৃহীত সাগর দে পবিত্রপাড়ার বাসিন্দা। তাঁকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। সাগরবাবুর স্ত্রী সুপর্ণা দেবীর অভিযোগ, এলাকারই পরিচিত দুই যুবক তাঁকে উত্যক্ত করার পরে সাগরবাবুকে মারধর করেছেন। ঘটনাচক্রে, রঞ্জন মজুমদার ও পিকলু সেন নামের দুই অভিযুক্তকে মাঝেমধ্যে নিগৃহীত সাগরের সঙ্গে আড্ডা মারতেও দেখা যায় বলে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি সদর ডিএসপি প্রভাত চক্রবর্তী বলেন, “এক গৃহবধূকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদের জন্য তাঁর স্বামীকে মারধর করার অভিযোগে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তাঁদের খোঁজা হচ্ছে।” অভিযুক্তদের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে পুলিশের দাবি। সুপর্ণা দেবীর অভিযোগ, ওই রাতে স্বামীর সঙ্গে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। দুজনেই সাইকেল চালাচ্ছিলেন। বেগুনটারি এলাকায় রঞ্জন এবং পিকলু নামে দুই যুবক বাইকে করে তাদের পিছু নেয়। সুপর্ণাকে উত্যক্ত করতে থাকে। বাড়ি লাগোয়া শান্তিপাড়া এলাকায় পৌঁছে সাগর দুই যুবকের বাইক থামিয়ে প্রতিবাদ করেন। ওই সময় দুজনে মিলে সাগরকে রাস্তায় পেলে মারধর করেন বলে অভিযোগ। রঞ্জনের বাবা রমেশ মজুমদার অভিযোগ করেন, “আমাদের বাড়ির সামনে সাগর মাতলামি করছিল। আমার ছেলে সহ অন্য কয়েকজন ধমক দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়।” পিকলু সেনের। তাঁর দাবি, “সাগরের স্ত্রী সঙ্গে ছিল না। সাগর নিয়মিত পাড়ায় মাতলামি করে অনেকেই জানেন। বৃহস্পতিবার সকলে মিলেই তাকে ধমক দিই। সে নিজেই রাস্তায় পড়ে গিয়ে চোট পায়। ওর বাবাকে খবর দিয়ে আমরাই ওকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।” |