টুকরো খবর
‘বেআইনি’ বালির লরি আটকে বিক্ষোভ
এ ভাবেই চলে বালি তোলা। ছবি: শুভ্র মিত্র
নদীর পাড় থেকে অবৈধ ভাবে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ফলে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। বালি ভর্তি লরি-ট্রাক চলাচলে ভেঙে যাচ্ছে গ্রামের রাস্তা। এই অভিযোগে বালি ভর্তি গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার কোতুলপুর থানার আমদহি গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগে বালি ভর্তি একটি লরি আটক করেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরবিন্দ বিশ্বাস। গ্রামবাসী তপন বিশ্বাস, হারুণ আলির অভিযোগ, “সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনে কিছু লরি মালিক জোর করে নদীর পাড় ঘেঁষে বালি তোলায় গ্রামের ঘাঁটিপাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকজন ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পরিবার নিয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ভারি লরি চলাচলে রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে।” বাসিন্দাদের ক্ষোভ, অনেকদিন ধরে এই সমস্যার কথা তাঁরা ভূমি দফতরে জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই তাঁরা এ দিন লরি আটক করেন। মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিষ্ণুপুর) রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “কোতুলপুর সদর থেকে এলাকাটি দূরে। আমি খবর পাওয়ার পর বিএলআরও-কে ঘটনাস্থলে যেতে বলি। একটি লরি ধরা পড়েছে।” তিনি জানান, আরও ধরপাকড় করা হবে।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হবে
আনন্দমঠ হোম থেকে দুই কিশোরী আবাসিকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা রক্ষীদের ভূমিকা কী ছিল, পৃথক ভাবে তা তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। শুক্রবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “হোমের দায়িত্ব সরাসরি পুলিশের নয়। শুধু নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। তবুও সেই রাতে হোমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হবে।” ওই হোম থেকে দুই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বুধবার সকালে। প্রশাসন থেকে দুই কিশোরীর সন্ধান জানানোর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নিজেরাও তদন্তে নামে। হোমের নিরাপত্তায় থাকা দুই এনভিএফ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর পাশাপাশি হোমের সুপারকে ‘শো-কজ’ করা হয়। হোমের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে ওই হোমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনীটিকে সরিয়ে নিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে তাঁদের ভূমিকা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করা হয়।

ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন
ধর্ষণের দায়ে কারাদণ্ড হল এক যুবকের। শুক্রবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অরূপ বসু এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার সরকারি আইনজীবী অরুণ মনি জানিয়েছেন, ২০১০ সালের অগস্ট মাসে নিতুড়িয়া থানার পর্বতপুর গ্রামের ঘটনা। দুপুরে ও গ্রামে জামাইয়ের বাড়িতে আসা এক প্রৌঢ়া পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে একা পেয়ে স্থানীয় যুবক ছোটেলাল মুর্মু ধর্ষণ করে। পরের দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ দিন বিচারক অভিযুক্তকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন।

স্কুলে বিক্ষোভ
স্কুলে মিড-ডে মিলের অচলাবস্থা নিয়ে কিছু অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। শুক্রবার কাশীপুর ব্লকের বেকো উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেসের বেকো অঞ্চল সভাপতি কাজল তিওয়ারির অভিযোগ, “এই স্কুলে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে মিড-ডে মিল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রাবাসও বন্ধ বেশ কয়েক মাস যাবৎ। কেন বন্ধ তা জানতে চেয়েই আমরা অভিভাবকেরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিলাম।” ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোমেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওঁরা তুমুল হইচই করায় আলোচনাই করা যায়নি।” তবে অভিযোগ সর্ম্পকে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

প্রৌঢ়ার অপমৃত্যু
বাড়ির রান্নাঘরে মিলল এক প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম তারাদাসী কাইতি (৫০)। বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ময়রাপুকুর এলাকায়। শুক্রবার দুপুরের ঘটনা। তাঁর পিঠে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। মৃতার বড়ছেলে রাজু কাইতি অভিযোগ বলেন, “আমার ভাই চন্দন কাইতি মানসিক ভারসাম্যহীন। সে টাকা না পেয়ে মা’কে খুন করেছে।” চন্দনকে পুলিশ আটক করেছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত মৃতার পরিবার কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।

দোকানে চুরি
দরজার তালা ভেঙে দোকানে চুরি হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেন বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মিছিল
বিনা অপরাধে তিন যুবককে গ্রেফতারের অভিযোগে শুক্রবার রামপুরহাটে আলাদা করে মিছিল করল সিপিএম ও কংগ্রেস।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.