|
|
|
|
স্কুলে পড়ুয়াদের উপরে হামলা, দাসপুরে অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলাকালীন স্কুলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ ব্লকের ধান্যখাল স্বামী সত্যানন্দ হাইস্কুলে। ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা আবার স্কুলে এসে প্রধানশিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতিকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আহত ছাত্রের পরিবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাস কয়েক আগে ধান্যখাল স্বামী সত্যানন্দ হাইস্কুলের বাংলা ও সংস্কৃতের দুই শিক্ষক বিএড পড়তে চলে যান। ডেপুটেশনে শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি হচ্ছিল। অবশেষে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইন্টারভিউ হয়। কিন্তু সেখানেও প্রার্থী বাছাই নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। তৃণমূল পরিচালিত এই স্কুলের সম্পাদক জয়দেব সামন্ত প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে অভিযোগে নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে সরে আসেন। তাঁর অভিযোগ, “স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে মনে হওয়ায় আমি নাম্বার দিইনি, কোনও সইও করিনি।” |
|
দাসপুরের স্কুলে উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র। |
এ দিকে, দীর্ঘ দিন ধরে দুই শিক্ষক না থাকায় পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছিল স্কুলে। শুক্রবার দ্বাদশ শ্রেণির কিছু পড়ুয়া অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্কুলে পোস্টার সাঁটায়। ক্লাস বয়কটও করে। সেই সময়ই আচমকা স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে একদল লোক পড়ুয়াদের উপরে হামলা চালান বলে অভিযোগ। ছাত্রীদেরও মারধর করা হয়। ভাস্কর পাত্র নামে এক ছাত্র গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা স্কুলে চড়াও হন। প্রধানশিক্ষকের উপস্থিতিতে বহিরাগতরা স্কুলে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মারধর করল কী ভাবেতা জানতে চান তাঁরা। এরপরেই প্রধানশিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতিকে তাঁরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। সভাপতি স্বপনবাবু বলেন, “আমি গণ্ডগোলের খবর পেয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। আচমকাই কয়েকজন গ্রামবাসী স্কুলে চড়াও হয়ে মারধর করেন।”
এই ভাবে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় বিব্রত দলীয় নেতৃত্ব। সরবেড়িয়া ২ অঞ্চলের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মাইতি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ‘মতান্তরে’র কথা স্বীকার করলেও এ দিনের হামলার জন্য সিপিএমকেই দোষী করেছেন। যদিও সিপিএমের জেলাকমিটির সদস্য সুনীল অধিকারী বলেন, “ওখানে আমাদের দলের কোনও লোকজন নেই। তৃণমূলের কোন্দলের জেরেই পুরো ঘটনাটি ঘটেছে। ওরা নিজেরাও জানে তা।” |
|
|
|
|
|