...গন্ধ এসেছে শতপদ্ম থেকে কাঠের পুতুল

বৃন্দাবন মাতৃমন্দির: পুরুলিয়ার মাদারিয়া গ্রামে প্রচলিত জ্যোৎস্নাকুমারীর পৌরাণিক কাহিনি তুলে ধরা হচ্ছে সুকিয়া স্ট্রিটের ১০৩ বছরের এই পুজোয়। জ্যোৎস্নাকুমারীর দস্যু-বধের কাহিনি তুলে ধরা হবে মণ্ডপে।

কৈলাশ বোস স্ট্রিট: মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। ৪৬ বছরের এই পুজোয় থিম না থাকলেও মণ্ডপসজ্জায় থাকবে কাঁথির হস্তশিল্পের নানা কাজ।

রামমোহন স্মৃতি সঙ্ঘ: থিম স্বপ্ন। আমহার্স্ট স্ট্রিটের ৫৪ বছরের এই পুজোর মণ্ডপ জুড়ে থাকবে নানা রকমের প্রজাপতি। ছবি থেকে শুরু করে লোহার গ্রিলের উপর রং করে প্রজাপতির অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হবে।

বাদুরবাগান বারোয়ারি: ৯৯ বছরের এই পুজোয় প্রতিমাও সাবেক।

হৃষিকেশ পার্ক সর্বজনীন: কোনও থিম নয়। এলাকাবাসীদের অংশগ্রহণই ৪৯ বছরের এই পুজোকে স্বতন্ত্র করে তোলে।

পটলডাঙা শারদীয় দুর্গোৎসব: টেনিদার পাড়ার এই পুজো এ বার একশো বছরে পা দিল। এ বারের থিম ‘শতবর্ষে শতরূপে’।
দেবী দুর্গার একশোটি মূর্তি ও তার বিভিন্ন রঙের বহির্প্রকাশ দেখা যাবে মণ্ডপে। শতবর্ষ তাই মণ্ডপে থাকবে একশোটি পদ্মফুল ও একশোটি ত্রিশূল।
কানাই ধর লেন মধ্য কলকাতা সর্বজনীন
৩৭-এর পল্লি দুর্গোৎসব, বৈঠকখানা রোড: ৬৫ বছরে এই পুজোর মণ্ডপ সাজানো হবে নবদ্বীপের কাঠের পুতুল দিয়ে। কাঠের পুতুল দিয়ে তৈরি করা হবে গৌরনিতাই, কৃষ্ণ, প্যাঁচা ইত্যাদি। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে হোগলাপাতা। প্রতিমায় থাকছে সাবেক ছোঁয়া।

টেমার লেন সর্বজনীন: সাবেক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে ৯৭ বছরের এই পুজো। এমনই দাবি কর্মকর্তাদের। ঠাকুরদালানের আদলে মণ্ডপ তৈরি হবে। থাকবে একচালার প্রতিমা।

ঠনঠনিয়া সর্বজনীন: কলেজ স্ট্রিট এলাকার ৭৬ বছরের এই পুজোয় কোনও থিম নেই। থাকছে সাবেক ঐতিহ্য।

মধ্য কলকাতা সর্বজনীন দুর্গোৎসব, বৌবাজার: রাজস্থানের একটি গ্রামের মিনেকারি কাজ ফুটিয়ে তোলা হবে ৬৬ বছরে এই পুজোর মণ্ডপে। রাজস্থানের মিনিয়েচার চিত্রকলাও দেখা যাবে এখানে। বর্তমান প্রজন্মকে মিনেকারি কাজের সঙ্গে পরিচিত করাতেই এই থিম নির্বাচন করা হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের দাবি।

কানাইধর লেন অধিবাসীবৃন্দ, সূর্য সেন স্ট্রিট: সূর্য সেন স্ট্রিটে যেন এক টুকরো জঙ্গল। জঙ্গলের গাছপালার আর্তি, ‘আমাদের বাঁচতে দাও’। গাছের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসছে হাত। সেই হাত গাছ না কাটার আকুতি জানাচ্ছে। ঝরা পাতা, জঙ্গল সবই দেখা যাবে ৬২ বছরের এই পুজোমণ্ডপে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকছে প্রতিমা।
রামমোহন স্মৃতি সঙ্ঘ বৃন্দাবন মাতৃমন্দির
নবাঙ্কুর সঙ্ঘ, মানিকতলা: নানা তুচ্ছ উপকরণ ব্যবহার করে শরৎ ঋতুকে তুলে ধরা হবে মণ্ডপে। যেমন, প্যারাসুটের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মেঘ। এমনকী, কাশফুল ও শিমুলফুলও দেখা যাবে মণ্ডপে।

হরিতকিবাগান সর্বজনীন: দুর্গারূপে সারদা দেবীকে দেখা যাবে এই মণ্ডপে। ধ্যানস্থ অবস্থায় সারদারূপী দুর্গাকে ফুটিয়ে তোলা হবে। মণ্ডপে থাকবে মধুবনী চিত্রকলা। সারদা দেবীকে নিয়ে এই মণ্ডপ, মণ্ডপে থাকছে বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণেরও মূর্তিও।

সিমুলিয়া সর্বজনীন: ৭৬ বছরের সাবেক পুজো। পুজোকে কেন্দ্র করে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক কাজও।

কৃষ্ণবাগান নবজীবন সঙ্ঘ: নারীদের উপর অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরে প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘মা তুমি কোথায়?’ মডেলের সাহায্যে সাম্প্রতিক কালে নারীদের উপর ঘটে যাওয়া অত্যাচারের নানা কাহিনি তুলে ধরা হবে ৪৩ বছরের এই পুজোয়।

বিবেকানন্দ সর্বজনীন দুর্গোৎসব: ৬৩ বছরের এই পুজোর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের আদলে। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের খুটিনাটিও এই মণ্ডপে দেখা যাবে।
পটলডাঙা

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.