ডেম্পো-২ (জোয়াকিম, কোকো)
সালগাওকর-০ |
ফেড কাপে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হবে কি না, সেটা জানতে রবিবার রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু মর্গ্যান শুক্রবার সন্ধেয় গ্যালারিতে বসেই এএফসি কাপে খেলার যোগতা অর্জন করে ফেললেন। এ দিন গোয়ার ডার্বিতে আর্মান্দো কোলাসোর দল হারাল গতবারের ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন সালগাওকরকে। ফাইনালে কোকো-ক্লাইম্যাক্সরা মুখোমুখি হলেন চিডি-মেহতাবদের। গতবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এএফসি কাপে ইতিমধ্যেই খেলার যোগ্যতা পেয়ে গিয়েছে ডেম্পো। ফলে শিলিগুড়িতে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল যে ফলই করুক এশিয়ার সম্মানজনক টুর্নামেন্টে মর্গ্যান ব্রিগেডের খেলায় কোনও অসুবিধা নেই।
চিডি-মেহতাব-খাবরা-পেনদের নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন মর্গ্যান। পাশে বসে থাকা অতনু ভট্টাচার্যর হাতে দেখা গেল ডেম্পো-সালগাওকর ম্যাচের ফুটবলার তালিকা। কোচের নির্দেশে নানা নামের পাশে বিভিন্ন মন্তব্য লিখে রাখছিলেন দলের গোলকিপার কোচ। কোকোর গোলটা হয়ে যাওয়ার পরই টিম হোটেলের দিকে পা বাড়ালেন লাল-হলুদ কোচ। এবং নিশ্চিত ভাবেই তাঁর তালিকায় উঠে গেল রোমিও ফার্নান্ডেজের নাম। ডেম্পোর দু’টো গোলের ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান। দু’বারই ডানদিকের অ্যাটাকিং মিডিও রোমিওর পা থেকে উড়ে এল ক্রস। জোয়াকিম আব্রাঞ্চেসের গোলটা হাফ ভলিতে। কোকোর গোলটা দুর্দান্ত একটা টানির্ংয়ে। |
পাঁচবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়নদের যে অ্যাকাডেমি আছে গোয়ায়, রোমিও সেখান থেকে উঠে আসা ফুটবলার। আর্মান্দো দারুণ পছন্দ করেন ছেলেটিকে। বলছিলেন, “রোমিও ভারতের ভবিষ্যৎ।” আর্মান্দো যে দেশের সফলতম কোচ কেন, তার প্রমাণ দিলেন এ দিনও। বিরতির পর ম্যাচ যখন গোলশূন্য তখন নামালেন তাঁর ‘মারণাস্ত্রকে’। এবং সেটা এ বারের ফেড কাপে দলের সবথেকে বেশি গোল করা ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকে তুলে নিয়ে। যা হয়তো ভাবতেই পারতেন না অনেক কোচ। চালটা ধরতেই পারেননি করিম। রোমিও নামার পরই আক্রমণের ঝড় তুলল ডেম্পো। এবং সেটা ডানদিক দিয়ে। পঁচাশি মিনিটের মধ্যে দুটো গোল তো হলই, কিছুক্ষণ পর লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতে হল সালগাওকরের কার্ডোজোকো।
চার বছর আগে শেষবার ফেড কাপের ফাইনালে উঠেছিল ডেম্পো। যুবভারতীতে মোহনবাগানের কাছে সে বার হেরেছিল আর্মান্দো কোলাসোর দল। তাদের শেষ ফেড কাপ জয় ২০০৪-এ। যে ম্যাচে মাঠেই মৃত্যু হয় জুনিয়রের। এখনও জুনিয়রের কথা ভেবে মাঠে নামেন ক্লাইম্যাক্স-মহেশ গাউলিরা। কোলাসো এ দিন বললেন, “ফেড কাপে এসে বরাবরই জুনিয়রের কথা মনে পড়ে। ওর জন্য ট্রফিটা জিততে চাই।” জুনিয়রের মৃত্যুর পর আর ফেড কাপ পায়নি দেশের সফলতম ক্লাব। দেখার শিলিগুড়িতে উল্টো দিকে চাকা ঘোরে কি না! |