|
|
|
|
খড়্গপুরে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আদালতের নির্দেশ মেনে এক সপ্তাহের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য উপপুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর কাছে দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কাউন্সিলরদের এই বৈঠক হয়।
পুরপ্রধান জহললাল পাল, উপ পুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর পাশাপাশি ছিলেন শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীও। বৈঠকে উপস্থিত সকলে একমত হন, পুর- দফতরের নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ করা হবে। পুর-দতফতরের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার কলকাতায় গিয়েছিলেন উপপুরপ্রধান। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে কয়েকটি বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়। এটা দলীয় ব্যাপার। পুরপ্রধান নির্বাচন নিয়ে পুর-দফতর যা নির্দেশ দেবে, সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।” দলীয় সূত্রে খবর, পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য কবে বোর্ড মিটিং ডাকা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি আলোচনাস্তরেই রয়েছে। |
|
যমুনা হেমব্রমের বাড়িতে তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র্র। |
গত সোমবারই খড়্গপুর পুরসভার এক বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পুর-দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, পুরপ্রধান নন, পুর-আইন অনুযায়ী পরবর্তী পুরপ্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার কাজ চালিয়ে যাবেন উপ-পুরপ্রধান। তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ১৪ অগস্ট অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। ২৭ অগস্ট এ নিয়ে বোর্ড মিটিং হয়। সেই মিটিং নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেসের দাবি, ওই দিন অনাস্থা ভোটে হেরে গিয়েছেন পুরপ্রধান জহরলাল পাল। অন্য দিকে তৃণমূলের বক্তব্য, অবৈধ ভাবে মিটিং হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ টালবাহানা চলে। ৫ সেপ্টেম্বর পুর- দফতর থেকে নির্দেশিকা আসে। তাতে জানানো হয়, অনাস্থা সংক্রান্ত বৈঠকের বিষয়টি লিগাল সেলের বিবেচনাধীন। সেল মতামত না দেওয়া পর্যন্ত জহরলাল পাল পুরপ্রধানের কাজ চালাবেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস। আদালতের রায়ের পর দ্রুত পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবি জানায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ঘোষণায় গড়িমসি করছেন উপ পুরপ্রধান। উপপুরপ্রধান অবশ্য জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মেনে যথাযথ পদক্ষেপই করা হবে। |
|
|
|
|
|