এক আদিবাসী মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়্গপুর লোকাল থানার গোকুলপুরে। মৃতার নাম যমুনা হেমব্রম (৪৮)। বৃহস্পতিবার রাতে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন যমুনাদেবী। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। শুক্রবার সকালে মেলা প্রাঙ্গণের অদূরে খালপাড়ে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিবস্ত্র অবস্থায় দেহটি খালপাড়ে পড়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “গোকুলপুর থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” আদিবাসীদের করম পরব ও ইঁদ (ইন্দ্রপুজো) উপলক্ষে প্রতি বছরই মেলা হয় গোকুলপুরে। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মেলা। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশের মাঠেই মেলা বসেছিল। আশপাশের পানিশিউলি, বরমপুর, বাড় গোকুলপুর গ্রামের মানুষজন ভিড় জমিয়েছিলেন। মৃত মহিলার বাড়ি বাড় গোকুলপুরে। তাঁর দুই ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মেলা দেখতেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন যমুনাদেবী। রাতে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন মেলা চত্বর ও আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাননি। গোকুলপুরের পাশ দিয়েই বইছে কপালেশ্বরী খাল। মেলা চত্বর থেকে খালের দূরত্ব বেশি নয়। শুক্রবার সকালে ওই খালপাড়েই যমুনাদেবীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। যমুনাদেবীর বড় ছেলে রবীন বলেন, “কী ভাবে মায়ের মৃত্যু হল বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করুক।” মৃতার বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। দলে ছিলেন তৃণমূলের জেলা নেতা অজিত মাইতি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বিনয় রাজ। অজিতবাবু বলেন, “পুলিশের কাছে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছি।” পুলিশ তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখারই আশ্বাস দিয়েছে।
|
পুলিশের উদ্যোগে ফুটবল এ বার নারায়ণগড়ে। শুক্রবার প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা, জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, নারায়ণগড় থানার ওসি সুজন রায় প্রমুখ। নারায়ণগড় থানা স্বামী বিবেকানন্দ জন্ম-সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সহযোগিতায় এই আয়োজন। শুধু ফুটবল নয়, থাকছে ভলিবল, খো-খো, তীরন্দাজি প্রতিযোগিতাও। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিআইজি বলেন, “মানুষের মধ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।” নারায়ণগড় হাইস্কুলের মাঠে ফুটবলে শট মারেন ডিআইজি, পুলিশ সুপার। তার আগে বেরোয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এর আগে ফুটবল দিয়েই জঙ্গলমহলে জনসংযোগে নেমেছিল পুলিশ। তাতে ভাল সাড়াও মিলেছিল। স্থানীয় প্রতিভার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল মাঠে। নারায়ণগড়ে প্রতিযোগিতার আয়োজনে স্থানীয় মানুষ নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান স্থানীয় থানার ওসি। তাঁর কথায়, “এলাকাবাসী সহযোগিতা না করলে এমন আয়োজন সম্ভব হত না।”
|
মেদিনীপুর পিপলস্ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নির্বাচন স্থগিত করে দিল সমবায় দফতর। ১৪ অক্টোবর এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মনোনয়ন জমা দেওয়াও শেষ। শুক্রবার মনোনয়নপত্র পরীক্ষার দিন ছিল। তবে তা হয়নি। মেদিনীপুরের এই সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি এখন বামেদের দখলে আছে। বৃহস্পতিবার শহর তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি জানান। তৃণমূলের বক্তব্য, যে ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছিল, তা ঠিক নয়। জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিষ্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি মদনমোহন ঘোষ বলেন, “মনোনয়নপত্র পরীক্ষার সময় কিছু কাগজপত্র লাগে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেই সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে পারেননি। তার ফলেই এই সিদ্ধান্ত।” ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎবিকাশ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রই তৈরি ছিল। তবে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেটা অপ্রত্যাশিত।” |