রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি |
গন্ডার বাঁচাতে কাজিরাঙায় সেনা নামানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন জানান, কাজিরাঙা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কড়া পাহারা বসানো হবে। সশস্ত্র কার্বি জঙ্গিদের ঘাঁটি রয়েছে এই সব অঞ্চলে। তাই পাহারার জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। কাজিরাঙায় সেনা নামানো নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব জি ডি ত্রিপাঠী আজই প্রয়োজনীয় চিঠি পাঠিয়েছেন বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, মুখ্য বনপাল এন কে ভাসুকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে কাজিরাঙায় পাঠানো হচ্ছে। নিয়োগ করা হচ্ছে আরও ৩৪ জন ফরেস্টার ও ৬৫ জন বনরক্ষী। বন্যায় অরণ্য ছেড়ে বেরিয়ে আসা প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য কী করা যায়, তা নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য চিড়িয়াখানার ডিএফও উৎপল বরা ও রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল, সুরেশ চাঁদকে নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গড়া হচ্ছে। গন্ডার হত্যা নিয়ে গত কালই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ বলেন, “কাজিরাঙা নিয়ে বিরোধীরা চক্রান্ত চালাচ্ছে। বনমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই।’’ রাজ্যের গন্ডার হত্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রকও চিন্তিত। বন ও পরিবেশমন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজন গন্ডার নিধন নিয়ে বিশেষ তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রতিনিধিরা তদন্ত করতে শীঘ্রই রাজ্যে আসছে।
গন্ডার হত্যার ঘটনাকে ঘিরে পশুপ্রেমীরা চিন্তিত, অন্য দিকে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিরোধীরা এর সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছে সেই আদি ও অকৃত্রিম ‘অনুপ্রবেশ’ শব্দটিকে। আসু, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ ও আরও কিছু সংগঠন অভিযোগ তুলেছে, কাজিরাঙার আশপাশে আশ্রয় নেওয়া বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীদের মদতেই চলছে গন্ডার শিকার।
গত কাল বনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে এবং ‘অনুপ্রবেশকারী হঠাও, গন্ডার বাঁচাও’ স্লোগান-সহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘক্ষণ ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। আজ কাজিরাঙার লাগোয়া চা-বাগানের চার শ্রমিক শুয়োরের হানায় জখম হন। প্রতিবাদে ফের পথ অবরোধ চলে। বনকর্তাদের অধিকাংশেরই মতে, এই পথ অবরোধ, কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের পিছনেও অন্য রাজনীতি রয়েছে। |