|
|
|
|
পুলিশের বন্দুক নিয়ে গুলি বিধায়কের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
নীতীশের ‘উস্কানি’ ছিলই। আর তারই ফলশ্রুতিতে তাঁর দলের এক প্রাক্তন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো চুক্তি-শিক্ষকদের লাঠি নিয়ে তাড়া করলেন। পুলিশের কার্বাইন ছিনিয়ে নিয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে ভয় দেখালেন। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল খগারিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক রণবীর যাদবের এই রণংদেহী মূর্তি সম্প্রচার করার পরেই তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল উঠেছে। বিরোধীরা নীতীশের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ এই ঘটনার জন্য সরসারি কাঠগড়ায় তুলেছেন নীতীশকেই। তাঁর বক্তব্য, “বিহারকে নীতীশই এই পথে নিয়ে গিয়েছে।”
গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্য জুড়ে ‘অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন। এবং সে দিন থেকেই নীতীশের প্রায় প্রতিটি সভাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে রাজ্যের চুক্তি-শিক্ষকরা। স্লোগান তো ছিলই। গত কাল বেগুসরাই ও খগারিয়ায় নীতীশের সভায় ও তাঁর যাত্রাপথে স্লোগানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কালো পতাকা, ডিম, ইট-পাটকেল এবং চপ্পল।
রাজনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেগুসরাই থেকে কাল নীতীশ খগারিয়ার জনসভায় যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে হঠাৎই স্থানীয় জেডিইউ নেতা রণবীর পাশের পুলিশকর্মী কাছ থেকে তার কার্বাইনটি ছিনিয়ে নিয়ে শূন্যে ব্লাস্ট ফায়ার শুরু করেন। পুলিশের লাঠি কেড়ে তেড়ে যান বিক্ষোভকারীদের দিকে। পরে পুলিশই রণবীরকে নিরস্ত করে। রণবীরের স্ত্রী পুনম যাদব এখন জেডিইউয়ের বিধায়ক।
তবে রণবীরের ঘটনায় যে চুক্তিঃশিক্ষকরা দমে যাননি, আজ আবার তা মাধেপুরায় প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ ও জেডিইউ কর্মীদের সতর্কতায় আজ বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বা তাঁর সভার ধারে কাছে যেতে পারেননি। তবে তারই মধ্যে কোনও এক ফাঁকে এক বিক্ষোভকারী সভায় ঢুকে যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে যখন মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন সেই সময় হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি তার চপ্পলটি নীতীশের উদ্দেশে ছুড়ে দেয়। মঞ্চের ঠিক আগে চপ্পলটি পড়ে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, বুধবারের সভায় নীতীশ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হুমকি দেন, বিক্ষোভকারীরা যদি সংযত না হন তবে তাঁর দলের কর্মীরাই বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করবেন। গত কালও বেগুসরাইয়ের সভায় তিনি বলেন, পটনায় বসে কারা এই বিক্ষোভে মদত দিচ্ছেন তা তিনি জানেন। মদতদাতাদের নীতীশ সতর্ক করেন, এরপর তাঁদের সভাতেও হামলা হবে। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল, আরজেডি, কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন নীতীশের এই হুমকির ফলেই ওই প্রাক্তন বিধায়ক গুলি চালানোর সাহস পেয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, চুক্তি-শিক্ষকদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য। নীতীশ তাঁদের কথা শুনতে পারতেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন। তা না করে নীতীশ তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন। |
|
|
|
|
|