|
|
|
|
অবশেষে অজিতের ইস্তফা গ্রহণে শেষ মহারাষ্ট্রের নাটক |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ভাইপো অজিতের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। যার ফলে, মহারাষ্ট্রের চার দিনের রাজনৈতিক নাটক আপাতত শেষ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সেচ কেলেঙ্কারির জেরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন অজিত। তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিপাকে পড়ে রাজ্যের কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার। শরদ পওয়ার-সহ এনসিপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব অজিতের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন। কিন্তু, অজিতকে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন দলের বিধায়কদের বড় অংশ। রাজ্য মন্ত্রিসভায় এনসিপি-র বাকি ১৯ জন সদস্যও ইস্তফা দেন।
বিধায়কদের হাবভাব দেখে শরদ জানান, পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে সব শুনে তিনি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কংগ্রেস নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণই অজিতের বিরুদ্ধে নানা তথ্য ফাঁস করে তাঁকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করে এনসিপি-র একাংশ। ফলে, দুই জোট শরিকের মধ্যেও সমস্যা দেখা দেয়।
আজ পরিষদীয় দলের বৈঠকের আগে এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেলের বাড়িতে অজিতের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শরদ। তার পরে বিধান ভবনে পরিষদীয় দলের বৈঠকে যান তাঁরা। দলীয় সূত্রে খবর, ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন অজিত। পাশাপাশি শরদের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যের কথা উড়িয়ে দেন অজিত। জানিয়ে দেন, শরদ তাঁর কাছে ভগবানের মতো।
শরদ জানান, তিনি অজিতের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণকেও অজিতের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে অনুরোধ করবেন তিনি। এনসিপি-র আর কোনও মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না।
মহারাষ্ট্রে সেচের অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্তকেও আজ স্বাগত জানান এনসিপি প্রধান। শরদের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত। অজিত ইস্তফা প্রত্যাহার করেন কি না তা নিয়ে আজও জল্পনা ছিল রাজনৈতিক শিবিরে। আজ দলীয় মুখপত্রে এই সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরে। এনসিপি সূত্রে খবর, সমস্যা আপাতত মিটলেও অজিত ও শরদের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অজিতকেই শরদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী বলে মনে করা হত। কিন্তু, সম্প্রতি রাজনৈতিক সক্রিয়তা বাড়ান শরদের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে। ফলে অস্বস্তিতে পড়েছেন অজিত। |
|
|
|
|
|