আকাশ থেকে পাখির চোখে শহর-দর্শনের নাগরদোলা ‘কলকাতা আই’ হবে হাওড়ায়। ‘লন্ডন আই’-এর ধাঁচে মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পটি তৈরি হবে মিলেনিয়াম পার্কের বিপরীত দিকে, গঙ্গার পাড়ে কলকাতা বন্দরের জমিতেই। তৈরির দায়িত্বে থাকছে রাজ্য পর্যটন দফতর। তবে উচ্চতায় ১৩০ মিটারের ‘লন্ডন আই’কে টেক্কা দিচ্ছে ১৫০ মিটারের ‘কলকাতা আই’। সেই সঙ্গেই বিলাসবহুল জেটি ‘মেরিনা’ প্রকল্পও চলে গেল হাওড়ায়। পর্যটন দফতরের এই প্রকল্পটি হওয়ার কথা ছিল গঙ্গার এ পাড়ে, কলকাতাতেই। কিন্তু সেনার জমিতে ওই প্রকল্পে আপত্তি তোলেন ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষ। |
শুক্রবার উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই হাওড়ায় পর্যটনকেন্দ্র তৈরির কথা ঘোষণা করেন। রাজ্য পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, নাগরদোলা তৈরির জন্য লাগবে মোট ২ একর জমি। জমিটি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। নাগরদোলাটি তৈরি হবে ‘বিল্ড অ্যান্ড অপারেট’ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ, যে সংস্থা এটি তৈরি করবে, তারাই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জমি কিনে নেবে। সেই জমিতে নিজের খরচেই নাগরদোলাটি তৈরি করবে তারা। এবং তার পরে পর্যটকদের কাছে টিকিট বিক্রি করে সেটি চালানোর কাজ করবে ওই সংস্থাই।
পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক জানান, এতে রাজ্য সরকারের কার্যত কোনও খরচই হচ্ছে না। উল্টে এই রাজ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে ‘কলকাতা আই’। ইতিমধ্যে আগ্রহীদের আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বলেও ওই আধিকারিক জানান। আগামী দু’বছরের মধ্যে এটি চালু করে দেওয়া হবে। |
একই সঙ্গে বটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে গঙ্গার পাড়ে তৈরি হচ্ছে বিলাসবহুল জেটি ‘মেরিনা’। টিকিট কেটে ওই জেটি থেকে গঙ্গাবক্ষে নৌকাবিহার করতে পারবেন পর্যটকেরা। এটি তৈরির জন্য অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের তরফে চেষ্টা চলছিল। প্রথমে কলকাতার দিকেই মেরিনা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে তা করা যায়নি। সেই কারণে এটি হাওড়ার দিকে করার সিদ্ধান্ত হয়। এটিও তৈরি হচ্ছে ‘বিল্ড অ্যান্ড অপারেট’ পদ্ধতিতে। তবে এই প্রকল্পটির জন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি নেওয়ার ব্যবস্থাও নিজে থেকেই করতে হবে বেসরকারি সংস্থাকে। পর্যটন দফতর শুধু প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দেবে। এর জন্যও আগ্রহীদের নাম চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বলে পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এটিও চালু হবে দু’বছরে। |