পুজো এসে গিয়েছে। এই মেলা যেন সেই বার্তাই দেয়। শুধু এ জেলা নয়, অন্য জেলা থেকেও শিল্পীরা তাঁদের পসরা নিয়ে হাজির হন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। সবমিলিয়ে এই ক’টা দিন যেন একটা অন্য পরিবেশ গড়ে ওঠে। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে তাই বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রতন দে বলেছিলেন, “শুধু কেনাবেচা শেষ কথা নয়, অনান্য বছরের মতো এ বারও মেলার পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে, তাও দেখতে হবে। তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য রয়েছে। জেলার ক্ষেত্রে এই মেলারও তেমন ঐহিত্য রয়েছে।” |
স্টলে হাজির বিধায়ক মৃগেন মাইতি ও জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
শুক্রবার থেকে শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তাঁতবস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলা। এ বার মেলার ৩০ তম বর্ষ। জেলা পরিষদ চত্বরেই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগে এখানেই মেলা হত। গত বছর মেলার জায়গা বদল হয়। মেলা হয়েছিল কলেজ মাঠে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মেলায় পসরা সাজিয়ে যাঁরা বসেন, তাঁদের একাংশকে সমস্যায় পড়তে হয়। পরিস্থিতি দেখে এ বার জেলা পরিষদ চত্বরেই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ বারও যে মেলা কোথায় হবে, তা নিয়ে ক’দিন আগে পর্যন্ত টানাপোড়েন চলেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেদিনীপুরের বিধায়ক থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য- সকলের বক্তব্যেই এল সেই প্রসঙ্গ।
জেলা সভাধিপতি যেমন বললেন, “বিধায়কের সহযোগিতা না পেলে হয়তো এখানে মেলা করাই যেত না।” তবে মেলার জাঁক কমেনি। বরং এ বার স্টলের সংখ্যা বেড়েছে। ৭৫টি স্টল রয়েছে এ বার। শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে, জেলা পরিষদের সহযোগিতায় এই মেলা। মেলার ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক বলছিলেন, “অনেকেই এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাঁতের একটা আলাদা আকর্ষণ আছে। ছোট বেলায় মায়ের কাছে অমর্ষির তাঁতের কথা শুনেছিলাম। এখন তাঁতের কাপড়ের দাম একটু বেশি। তবে অনেকেই লোভ সামলাতে পারেন না।” একই বক্তব্য জেলা সভাধপতির। তাঁর কথায়, “এই মেলার মাধ্যমেই তো বাজার বাড়ে। বিপণনের ব্যবস্থা করা যায়। শিল্পীরা খুশি হন।” মেলা চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। |