নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
একটি রঙিন টিভি, আর হাজার কুড়ি টাকা। শ্বশুরবাড়ির এই পণের দাবি মেটাতে পারেননি রহিমা। তার জেরে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় শুক্রবার রামপুরহাট আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিচারক মানস বসু ওই তিনজনের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারা অনুযায়ী দু’বছর, ৩০৪বি অনুযায়ী সাত বছর ও ৩০২ অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেকটি সাজাই একই সঙ্গে চলবে।”
জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির চন্দনবাটি গ্রামের বাসিন্দা মানিক শেখের মেয়ে রহিমা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নলহাটির তকিপুর গ্রামের শুকুর মির্ধার ছেলে ফজল মির্ধার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পেশায় রাজমিস্ত্রি ফজল স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। ২০০৮ সালের ২৮ জুন খুন হন রহিমা বিবি। নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রহিমার স্বামী, শ্বশুর শুকুর মির্ধা ও শাশুড়ি সুনীতি বিবির বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছিল। প্রবালবাবু বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট ও বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে রহিমা বিবিকে (২০) খুন করা হয়েছিল।”
অন্য দিকে, দুই আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবি কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে মদন মুর্ম ও বিজলি কিসকুর বিরুদ্ধে দুই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ হয়। বিচারক মদনের ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য অভিযুক্ত বিজলি কিসকু এখনও পলাতক।” |