দুষ্কর্ম করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যেই বাধে গোলমাল। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নিজেরাই। তাতেই গুরুতর জখম হন তিন জন। পরে চেঁচামেচিতে বাসিন্দারা বেরিয়ে ফের মারধর করে তাদের। সোমবার গভীর রাতে গণপিটুনিতে তিন জনের মৃত্যুতে এমন ঘটনাই ঘটেছিল বলে দাবি করল পুলিশ। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা ওই অপরাধী দলের সদস্য বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তাদের জেরা করেই এমন তথ্য মিলেছে, দাবি পুলিশের।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা শুক্রবার বলেন, “ধৃতদের নাম রাকেশ রিজভি, হাসমত আলি ও সানি দাস। প্রথম জনের বাড়ি শহরের পীরবাহারাম পুরাতনচকে। হাসমত নিত্যানন্দপুর ও সানি বাজেপ্রতাপপুরের বাসিন্দা। এই তিন জন ওই দুষ্কৃতী দলে ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।”
সোমবার রাতে গোদা মৌজায় ডাকাত সন্দেহে তিন জনকে পিটিয়ে মারে জনতা। পুলিশ প্রথমে জানিয়েছিল, গভীর রাতে ৮-১০ জনের একটি দল এলাকায় ঢোকে। তাদের দেখে গ্রামের কুকুরেরা চিৎকার শুরু করে। তাতে গ্রামের মানুষ বেরিয়ে দলটিকে তাড়া করলে দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালায় বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তা সত্ত্বেও তিন জনকে ধরে ফেলেন গ্রামের লোকেরা। গণপ্রহারের পরে মৃতপ্রায় তিন জনকে গ্রামেরই কিছু বাসিন্দা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। নিমাই স্বর্ণকার ও কার্তিক কর্মকার নামে দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মৃত বলে জানানো হয়। ঘণ্টা দুয়েক পরে মৃত্যু হয় ধর্মেন্দ্র সিংহ নামে এক জনের।
ঘটনার পরে পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, তিন জনই দাগি দুষ্কৃতী। ধর্মেন্দ্র আগে গ্রেফতারও হয়েছিল। বাকিদের বিরুদ্ধেও কিছু ডাকাতির মামলা রয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে। তবে শুক্রবার পুলিশ দাবি করে, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, নিজেদের মধ্যে এক প্রস্থ মারপিটে আগেই জখম হয়েছিল তিন জন। পরে জনতার মারে তাদের মৃত্যু হয়। |