বেলুন কোন বাচ্চা ভাল না বাসে?
সেই মজাই এ বার খুদেদের জামায়। পোশাকের মাঝখানটা ফুলে থাকে বেলুনের মতো, তাই নাম ‘বেলুন টপ’।
বাচ্চাদের জামা কেনায় হাজার ঝকমারি। কোনওটা বহরে বড় হয় তো কোনওটা ঝুলে ছোট। এ দোকান ও দোকান চষে তবেই মেলে মনের মতো জামা।
তবে গত দু’তিন বছরে এই ছবি অনেকটাই বদলে দিয়েছে শপিং মলগুলো। নানা সাইজের নানা রঙের হরেক পোশাক ঝোলানো। হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে কিনে ফেললেই হল। চাপে পড়ে বদল এনেছে পুরনো দোকানগুলিও। বাতানুকূল যন্ত্র বসেছে। পোশাক সাজানোর ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
বাচ্চা কোন জামা পড়বে, কিছু দিন আগে পর্যন্তও বড়রাই তা ঠিক করে দিতেন। কিন্তু ইদানীং খুদেরা স্কুলেই আলোচনা করে চলে আসছে, কে কোন জামা কিনবে। কচি গলায় ফ্যাশনের জবানি শুনে বাবা-মায়ের চোখ কপালে! তবে বাঁচোয়া, এখন বৈচিত্র্যও আগের চেয়ে অনেক বেশি। মেয়েদের জন্য ফ্রক, লেগিংস, স্কার্ট, টপ, সালোয়ার, লাচা, জিন্স, বাবা স্যুট, কুর্তা, পাঞ্জাবি তো আছেই। রয়েছে লং ফ্রক, জ্যাকেট, গাউন, ফার দিয়ে তৈরি সুসজ্জিত টু-পিস, চুড়িদার, বিভিন্ন স্কার্ট, টু-পার্ট। এ ছাড়াও আছে হ্যারেন প্যান্ট, হট প্যান্ট, নানা ডিজাইনের বাহারি টপ। তারই মধ্যে নতুন আকর্ষণ বেলুন টপ। শিফন বা জর্জেট-জাতীয় কাপড়ে তৈরি এই টপই এখন বিক্রিতে ‘টপ’, দাবি বিক্রেতাদের অনেকেরই।
ছেলেদের জন্যও রয়েছে জিন্স, বাবা স্যুট, কুর্তা, পাঞ্জাবি। শপিং মলে আবার বয়স অনুয়ায়ী পোশাকের ভাগ। সদ্যোজাতদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে টুপি-সহ ফুল হাতা, হাফ হাতা ‘পিওর’ সুতির পোষাক। নিজেদের পছন্দ মতো নানা রকম মিলিয়ে মিশিয়েও নেওয়া যেতে পারে। পাশে চার-পাঁচ থেকে চোদ্দ-পনেরো বছর বয়সীদের জন্যও রয়েছে পোশাকের সম্ভার। ক্লাস ফাইভের ছাত্রী মেঘলা ভৌমিকের কথায়, “কোনটা ছেড়ে কোনটা কিনব, সেটাই ভেবে উঠতে পারছি না!” পুজোয় অনেক খুদেরই যে একটাও জামা হয় না, তা এদের কে মনে করিয়ে দেবে? |