মুদ্রা বিক্রির নামে ডেকে এনে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে দুর্গাপুরে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরের ট্রাঙ্ক রোড এলাকা থেকে শুক্রবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দীপক রায় নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। ঘটনায় জড়িত আরও দু’জন পলাতক। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের যে হোটেল ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ, তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রকোনার হোটেল ব্যবসায়ী নন্দদুলাল মণ্ডল বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের শ্রীকান্ত মণ্ডল। নন্দদুলালবাবু পুলিশকে জানান, তিনি পুরনো মুদ্রা সংগ্রহ করেন। পূর্ব পরিচিত মুদ্রা কারবারি দুর্গাপুরের অমিত ভট্টাচার্য, দীপক রায় ও মহম্মদ আমির তাঁকে ফোনে জানায়, তাদের কাছে প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো একটি তাম্রমুদ্রা রয়েছে। সে জন্যই শ্রীকান্তবাবুকে নিয়ে ট্রাঙ্ক রোডের নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছন নন্দদুলালবাবু। তাঁর অভিযোগ, সেখানে পৌঁছতেই ওই তিন জন তাঁদের ঘরের ভিতরে আটকে ফেলে। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তাঁর বাড়িতে ফোন করেও সে কথা জানায় দীপকেরা। শুক্রবার সকালে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে শ্রীকান্তবাবু কোনও রকমে বেরিয়ে পড়েন। |
তিনি আশপাশের বাসিন্দাদের ঘটনার কথা জানান। বাসিন্দারা জড়ো হয়ে দীপককে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নন্দদুলালবাবুকে উদ্ধার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি পুরনো দেশি পাইপগান মেলে। অন্য দু’জন অবশ্য তার আগেই পালিয়েছে।
দীপক অবশ্য অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশের কাছে সে জানিয়েছে, তারা খাদানের লিজ নিয়ে বালির ব্যবসা করে। নন্দদুলালবাবুও একই কারবারে জড়িত। সেই সূত্রেই তাঁদের পরিচয়। দীপকের দাবি, তার সঙ্গী অমিতের কাছে প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়েছেন নন্দদুলালবাবু। বারবার তাগাদা দিয়েও ফল হচ্ছিল না। সে জন্য দুর্গাপুরে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু এখানে এসেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, টাকা দেবেন না। তাই তাঁকে আটকে রাখা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পিছনে অন্য কোনও ঘটনা আছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। নন্দদুলালবাবুকেও জেরা করা হচ্ছে। পলাতক দু’জনের খোঁজ চলছে। |