|
|
|
|
নতুন ভবন পেয়ে খুশি রায়হাটবাসী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিতে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনুমোদন মিলেছিল। কিন্তু জমি সমস্যার জন্য অন্যের ঘরে অস্থায়ীভাবে কোনও রকমে চলছিল চিকিৎসা। স্বাস্থ্যদফতর জানিয়ে দেয় স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে হলে এলাকার মানুষকে জমি দান করতে হবে। তখন কালবিলম্ব না করে এগিয়ে আসেন গ্রামের বাসিন্দা সাধন মুখোপাধ্যায় ও তাঁর দুই আত্মীয় বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়, কাশীনাথ মুখোপাধ্যায় এবং অন্যেরা। দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার সমাধান হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।
|
|
দানের জায়গায় গড়ে উঠেছে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। ছবি: অনির্বাণ সেন। |
রায়হাট এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কয়েক বছর আগে রায়হাট লাগোয়া শাউলডিহি গ্রামে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হয়। জমির সমস্যা থাকায় প্রথমে ক্ষুদিরাম বায়েনের ইন্দিরা আবাস যোজনায় পাওয়া ঘরেই গত দু’বছর ধরে চলছিল প্রাথমিক কাজকর্ম। এর ফলে নিয়মিত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া ছাড়াও ছিল বিবিধ সমস্যা। তখনই এগিয়ে আসেন সাধনবাবুরা। তাঁরা দান করেন জমি। কিন্তু তার পরও নানা জটিলতায় স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজ আটকে ছিল। শেষমেষ সাধনবাবু ও বিএমওএইচ সুজয় পালের চেষ্টায় প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ হয়।
গত শনিবার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। উপস্থিত ছিলেন এসআরডি-এর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল প্রমুখ। রায়হাট, শাউলডিহি, বোধপুর, গোবিন্দপুর, ফুলতোড়, ঘাষবেড়া ইত্যাদি গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী সোরেন, পাকু মান্ডি, বিশ্বনাথ বাউড়ি, মহম্মদ হামিদ, সুবোধ বাউড়িরা বলেন, “এতদিনে আমরা স্বস্তি পেলাম। আশা করি এবার সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাব।” সপ্তাহে অন্তত দু’দিন চিকিৎসক থাকার দাবি জানান তাঁরা। বিএমওএইচ বলেন, “কোনও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে যা বলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলতে পারবেন। এখানে সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের প্রাথমিক চিকিৎসা, মা ও শিশুর টিকাকরণ ইত্যাদি পরিষেবা দেওয়া হয়।” |
|
|
|
|
|