|
|
|
|
চালু হয়নি আরও তিনটি ইউনিট |
অনুমোদনের পরে বছর ঘুরেছে, তবুও চালু হয়নি এসএনসিইউ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
কাজ শেষ, অনুমোদন মিলেছেও অনেকদিন, তবু চালু হয়নি এসএনসিইউ। যদিও কথা ছিল চলতি বছরের গোড়াতেই সদ্যোজাত শিশুদের জন্য এসএনসিইউ (সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট) চালু হবে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে বছর শেষ হতে চললেও এখনও চালু হয়নি ওই ইউনিট।
দুই জেলার মধ্যে মহকুমা স্তরে ঘাটালেই প্রথম ওই ইউনিট চালু করার অনুমোদন দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। ফলে তড়িঘড়ি করে বেশ কয়েকমাস আগেই চালু হয় কাজ, ওই ইউনিটের জন্য সহযোগী চার চিকিৎসককেও নিয়োগ করে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ না হওয়ায় ইউনিটটি এখনও চালু হয়নি। এমনকী কবে চালু হবে তা-ও স্পষ্ট ভাবে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ে স্বাস্থ্য দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও চিকিৎসক না মেলায় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না” সমস্যার কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “যাতে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিসক নিয়োগ করা যায়, তার চেষ্টা চলছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রোগীর চাপ বরাবরই বেশি। মহকুমার বাসিন্দারা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি ইত্যাদি জেলা থেকেও বেশ কয়েকটি ব্লকের বাসিন্দারাও এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। অথচ রোগীদের অভিযোগ, স্ত্রী, প্রসূতি, মেডিসিন, শিশু বিভাগে পযার্প্ত চিকিৎসক নেই। নেই প্রয়োজনীয় নার্স এবং কর্মীও। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ৮টি শয্যা নিয়ে ওই ইউনিটটি চালু হওয়ার কথা। ঘাটাল হাসপাতালে ওই ইউনিটটি চালু হলে সদ্যোজাতদের যে কোনও জটিল রোগের (অস্ত্রেোপচার বাদে) চিকিৎসা করা যাবে। ফলে এলাকার মানুষকে আর সদ্যোজাতদের নিয়ে কলকাতা ছুটতে হবে না। কিন্তু ইউনিটটি চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের দাবি মেনে বেশ কয়েকমাস আগে স্বাস্থ্য দফতর পিপিপি মডেলে ঘাটাল হাসপাতালে স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে ও ডায়ালিসিস ইউনিটেরও অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু অনুমোদন মিললেও ওই তিনটি ইউনিট চালুর কোনও উদ্যোগই দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। অথচ, ওই তিনটি বিভাগ চালু হলে সস্তায় রোগীরা এই সুবিধাগুলি পেতেন। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের এখনও হাজার হাজার টাকা খরচ করে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে ওই সুবিধাগুলি নিতে হচ্ছে। আশা বলতে একমাত্র স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্রের দেওয়া আশ্বাস। মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “ওই বিভাগগুলি চালু করার জন্য হাসপাতালের ভিতরেই জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। জমি চিহ্নিত করার কাজও শেষের মুখে। শীঘ্রই সব চালু হয়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|