|
|
|
|
উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকার হুমকি |
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল: ছ’মাসে কাজ শুরুর দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কাজ ৬ মাসের মধ্যে শুরু না-হলে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুমকি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বুধবার কোচবিহারে সাগরদিঘি চত্বরে জেলা কংগ্রেসের ডাকে আয়োজিত সভায় প্রদীপবাবু ওই হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি, আগামী ৩ মাসের মধ্যে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কাজ এতটুকুও না এগোলে উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকার হুমকিও দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর হুঁশিয়ারি, “৩ মাস দেখব। কাজ না এগোলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বনধ করা হতে পারে। ৬ মাসের মধ্যে কাজ শুরু না হলে গোটা রাজ্যে আন্দোলন হবে।” এ দিনের সভায় ছিলেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি, শঙ্কর সিংহ, নির্বেদ রায়, শঙ্কর মালাকার, শ্যামল চৌধুরী কেশব রায়, সুখবিলাস বর্মা, বীরেন কুণ্ডু সহ অনেকেই। ওই সভায় দীপা দেবী বলেন, “রায়গঞ্জ সহ উত্তরবঙ্গ হল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি।” তাঁর অভিযোগ, সে জন্যই তৃণমূলের সংগঠন বাড়ানো যাবে না বুঝতে পেরে রায়গঞ্জ থেকে ওই হাসপাতাল মুখ্যমন্ত্রী সরিয়ে নিতে চাইছেন।” দীপা দেবী বলেন, “আমরা এটা হতে দেব না। ওই হাসপাতাল রায়গঞ্জে গড়া নিয়ে টালবাহানা বন্ধ না হলে আন্দোলনে উত্তরবঙ্গকে স্তব্ধ করে দেব।” প্রদীপবাবু ও দীপা দেবী ওই মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কর্মীদের তৈরি থাকবার পরামর্শ দেন। প্রদেশ সভাপতি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারে কংগ্রেসকে জয়ী করার আর্জি জানান। পাশাপাশি, দীপা দেবীর ঘোষণা, “পঞ্চায়েতে কোন সমঝোতা নয়। যতজন আছেন ততজনই লড়বেন। মাথা উঁচু করে থাকবেন।” এদিকে, ওই সভায় দলের সমর্থকদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কোচবিহার জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী। জেলা কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, “জেলার বিভিন্ন এলাকার কর্মীদের এদিনের সভায় আসতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। গাড়ি মালিকদের হুমকি দেওয়ায় শীতলখুচিতে গাড়ি পাওয়া যায়নি। সুটকাবাড়ি অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি আহমেদ হোসেন-সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। চান্দামারিতে গাড়ি ভাঙচুরও করেছে তৃণমূল। গত ৩৪ বছরে এমন অত্যাচার দেখিনি।” এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেছেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভিড় না-হওয়ায় এই অজুহাত দেওয়া হচ্ছে।
রিলে অনশন। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বেহাল দশা ঘোচাতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে কোচবিহারে রিলে অনশনে বসলেন সিটু প্রভাবিত এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কর্মীরা। বুধবার দুপুরে নিগমের ডিভিশনাল ম্যানেজারের দফতরের সামনে সংগঠনের ৬০ জন সদস্য ওই রিলে অনশন শুরু করেন। চলবে ৭২ ঘণ্টা। ইউনিয়নের সম্পাদক জগতজ্যোতি দত্ত বলেন, “যাত্রী পরিষেবায় যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য ৬০ জন সদস্য ছুটি নিয়ে তিনটি দলে ওই অনশন আন্দোলন করছেন। এর পরেও হাল ফেরাতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” নেতৃত্বের অভিযোগ, গত নভেম্বর মাস থেকে নিগমের কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। প্রতিমাসে বেতনের একাংশ বকেয়া থাকছে। এমনকী সেপ্টেম্বর মাস শেষ হতে চললেও অগস্ট মাসের বেতন আসেনি। |
|
|
|
|
|