কলকাতা পুর-এলাকায় এ বছর ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছে দু’জন! বুধবার বিধানসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই তথ্যই দিয়েছেন। তাঁর হিসেব অনুযায়ী, কলকাতা পুর-এলাকায় ডেঙ্গিতে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৭। ডেঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র। মন্ত্রীর জবাব শুনে বলেন, “হিসেব আছে ১৩৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত প্রায় ৬০ জন।” মন্ত্রীর পাল্টা জবাব, “আমি যে হিসেব দিচ্ছি, তা পুরসভা থেকেই আমাকে জানানো হয়েছে।” মন্ত্রীর যুক্তি, প্রাথমিক রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়লে তা গণ্য করা হচ্ছে না। আইজিএম পরীক্ষায় ধরা পড়লে তবেই গণ্য করা হচ্ছে। মন্ত্রীর বক্তব্য, এই রোগে মৃত্যুর ক্ষেত্রেও ডেথ সার্টিফিকেটের সঙ্গে রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট থাকতে হবে। রিপোর্টে রোগের প্রমাণ থাকতে হবে। তবেই বলা যাবে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান বলেন, “কেন আপনারা ডেঙ্গি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন? শুনেছি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। আপনারা পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিচ্ছেন না।” এ দিকে, সম্প্রতি জ্বরে আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে পাঁচটি নামী হাসপাতাল ঘুরতে হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা দিব্যেন্দু ঘোষকে। বুধবার তিনি বলেন, “সব হাসপাতালই বলেছে আইসিসিইউ ছাড়া এই রোগীকে ভর্তি করা সম্ভব নয়। কিন্তু সর্বত্র ডেঙ্গির রোগীতে ভর্তি।” সরকার সে তথ্য মানতে নারাজ। উল্টে ২০০৫-এ ডেঙ্গিতে কত জনের মৃত্যু হয়েছিল, তা বিধানসভায় জানতে চান তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। পুরমন্ত্রীর জবাব, “সে বার ৫০০ জনের বেশি মারা যান। সূর্যবাবুরা তখন সিরিয়াস না হয়ে এখন হয়েছেন। তার জন্য ধন্যবাদ।”
|
অবশেষে ব্লাড ব্যাঙ্ক খুলল |
লাইসেন্স না থাকায় টানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পরে বিধায়কের উদ্যোগে অবশেষে খুলল কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার রাতে কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে এই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হয়। স্বাস্থ্য দফতরের আইনানুসারে রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর লাইসেন্স ‘রিনিউ’ করতে হয়। কিন্তু কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার লাইসেন্স রিনিউ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে না পারায় রাজ্যের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা প্রথমে অতিরিক্ত ৬ মাস সময় দেয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই ৬ মাসের মধ্যেও লাইসেন্স রিনিউ করতে অপারগ হলে ড্রাগ নিয়ামক অধিকর্র্তা কাঁথি ব্লাড ব্যাঙ্ক বন্ধ করার নোটিশ জারি করেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন কাঁথি, এগরা মহকুমা-সহ বিস্তীণর্র্ এলাকার মানুষজন। বিশেষত কাঁথি ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল কয়েক’শো থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় মিত্রকে জরুরী ভিত্তিতে ওই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করার নির্দেশ দেন। এরপরে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে বিধায়ক ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপারের উপস্থিতিতে চালু হয় হাসপাতালের ওই ব্লাড ব্যাঙ্ক।
|
স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে বুধবার ইলামবাজারে হয়েছে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা শিবির। সহযোগিতায় ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। এলাকার বিভিন্ন জায়গার ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল পরিষ্কার করে মশা নিরোধক ওষুধ স্প্রে, ব্লিচিং দেওয়া হয়। হাটতলা এলাকার ওই কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ, তার চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে মানুষকে বিস্তারিত জানানো হয় এই শিবিরে।
|
আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের যশোডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে মদের আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে একাংশ স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে বাপি সাহা নামে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণিপ এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ।
|
উঃবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একদল জুনিয়র চিকিৎসক। ‘ইউনাইটেড জুনিয়র ডাক্তার’ নামে সংগঠন তৈরি করে তাঁরা বুধবার এ ব্যাপারে হাসপাতালের সুপারকে স্মারকলিপি দেন। কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
আমরি হাসপাতালের ছয় কর্তার জামিন নাকচের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। |