পুজোয় শহরে নজরদারির উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
চাঁদা সংক্রান্ত কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে? তা হলে জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দারা চটজলদি যাতে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারেন, সেই জন্য উদ্যোগী হয়েছেন জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, কনট্রোল রুমে ওই অভিযোগ জানিয়ে নিজের পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধও করতে পারবেন। সঠিক পরিচয় দিলে অবিযোগকারীর আর্জি মেনে প্রয়োজনে তাঁর নাম-ঠিকানা গোপন রাখা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে। এর পাশাপাশি, পুজোর মরসুমে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। যেমন, ইভ টিজিং বা চুরি-ছিনতাই রুখতে ভিড় হয় এমন রাস্তায়, মণ্জপের আশেপাশে সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপ লাগোয়া এলাকায় খোলা হবে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর পুজো গাইড ম্যাপে প্রকাশ করা হবে। পুজো কমিটিগুলিকেও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। |
• চাঁদা নিয়ে অভিযোগ জানানোর ফোন: ০৩৫৬১-২৩০৭২৫ |
• বড় মণ্ডপে ঢোকার দুটি রাস্তা করতে হবে। জল, বালি মজুত রাখতে হবে। |
• মণ্ডপের কাছে রান্না করা যাবে না। |
• ছ’বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর বুকে বাড়ির ঠিকানা, অভিভাবকের নাম এবং ফোন নম্বর লিখে রাখা জরুরি। |
• মোটরবাইকে হেলমেট জরুরি। মোটরবাইকে তিন জন আরোহী থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
বড় মাপের পুজো মণ্ডপে যাতায়াতের একাধিক ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে। মণ্ডপ লাগোয়া এলাকাতে খাবারের দোকান বা আগুন জালিয়ে রান্না করায় বিধিনিষেধ মানতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “পুজোর দিনগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে সেই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুজোর দর্শনার্থীদের আপৎকালীন পরিষেবা দিতে কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” পুজোর ভিড়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে পৌছে দিতে শহরের বিভিন্ন মোড় এবং বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপের পাশে তৈরি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রে আম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া হবে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্য নিয়ে আম্বুলেন্স রাখা হবে। হঠাৎ মণ্ডপে বা কোনও এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক করাতে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীদের রাখা হবে। পুজোর দিনগুলিতে রাস্তায় বাইক চালানো নিয়েও কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানো বন্ধ করতে মহায়লয়ার আগে থেকেই বিশেষ একটি নজরদারি ভ্যান শহরের রাস্তায় নামানো হবে। |
|