ঝোরায় ধস, ভাঙল রাস্তা
চমকা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের জুরন্ত সেতু লাগোয়া সড়কের কিছুটা ধসে যাওয়ায় কোচবিহার যাওয়ার পথে প্রায় আধ ঘণ্টা আটকে পড়লেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ বেশ কয়েকজন নেতা-বিধায়ক। বুধবার বেলা ১০টা নাগাদ ওদলাবাড়ি ও বাগডোগরার মাঝে জুরন্তি ঝোরার কাছে কংগ্রেস নেতাদের গাড়ি থমকে যায়। দীপাদেবী, প্রদীপবাবুরা হেঁটেই ধসে বিধ্বস্ত এলাকা পার হন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা হলে তাঁরা কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা হন। দীপাদেবী বলেন, “গোটা রাজ্যেই রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়েছে। ডুয়ার্সের পরিস্থিতি কতটা খারাপ সেটাও দেখলাম।”

সেতু পেরোচ্ছেন দীপাদেবী।

৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের জুরন্ত সেতু লাগোয়া এলাকায় ধস।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ১৫ মিটার জাতীয় সড়ক ছাড়া এ দিন জুরন্তি সেতুর কিছুটা ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই ঘটনার খবর পেয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি বলেন, “কেন রাস্তা ও সেতুর কিছুটা ভেঙে পড়ল খোঁজ নিয়ে দেখব।” জাতীয় সড়কের কর্তারা জানান, জুরন্তি ঝোরায় হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সড়কের তলার মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ে। জাতীয় সড়ক-৯ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার নির্মল মণ্ডল বলেন, “জল বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় সড়কের ১৫ মিটার এবং জুরন্তি সেতুর একপাশের ‘গার্ড ওয়াল’ ধসে যায়। ঝোরার জল নীচের মাটি নরম করে দেওয়ায় ওই ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।” পুজোর মুখে জাতীয় সড়ক আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যটন মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। লাটাগুড়ির ছোটগাড়ি সংগঠনের পক্ষে রতন অধিকারী বলেন, “প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে পর্যটকদের এনজেপি স্টেশন ও বাগডোগরা পৌঁছে দেয়। পথ বন্ধ হয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।”

বুধবার ছবি দু’টি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.