|
|
|
|
বৈঠকে সিদ্ধান্ত তৃণমূলের |
ক্ষোভ-চিঠি পেশ ২৯শে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পুরসভার মাসিক সভার পরই শিলিগুড়ির মেয়রের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাঁকে চিঠি দেবে তৃণমূলের কাউন্সিলররা। বুধবার শিলিগুড়ির পূর্ত দফতরের বাংলোয় দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সেখানেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। মেয়র অবশ্য জানিয়েছেন, চিঠি পেলে তিনি এ ব্যাপারে উত্তর দেবেন। কেন্দ্র এবং রাজ্যে কংগ্রেস-তৃণমূল ‘বিচ্ছেদ’-এ শিলিগুড়ি পুরসভা-সহ উত্তরবঙ্গে তাদের জোটের অধীনে থাকা পুর বোর্ডের ভবিষ্যত নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। গত শুক্রবারই দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে গৌতম দেব জানিয়ে দেন, মেয়রের কাজকর্মে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। মেয়রকে চিঠি দিয়ে তাঁরা বিষয়টি জানিয়ে দেবেন। সমথর্র্ন প্রত্যাহারের বিষয়টি তাতেই জানানো হবে কি না সে ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি তিনি। এ দিন বৈঠকের পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “জোট থেকে আমরা বেরিয়ে আসব কি না বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্দেশ পেলেই ঠিক হবে। বোর্ড মিটিংয়ের আগে এ দিন দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরসভার কাজের পর্যালোচনা করতে বৈঠক হয়েছে। মেয়রকে চিঠি দেওয়ার যে কথা জানানো হয়েছিল তা বোর্ড মিটিংয়ের পরই আমরা জানিয়ে দেব।” তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, জোটে থাকলেও আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বোর্ড মিটিংয়েই পুরসভার বিভিন্ন কাজ নিয়ে মেয়রের কাছে প্রশ্ন তুলতে চলেছেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। তার মধ্যে রয়েছে, রাজীব আবাস যোজনার বিষয়টি। গত ১৪ মাস জোটের পুরবোর্ডে রয়েছে তৃণমূল। বোর্ডে তৃণমূল যোগ দেওয়ার পরই এই শহরকে রাজীব আবাস যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করতে তৎপর হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। মূলত, তার উদ্যোগেই এই শহরকে সম্প্রতি এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অথচ তার আগে রাজীব আবাস যোজনায় এই শহরকে অন্তর্ভুক্ত করতে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেনি কংগ্রেসের ক্ষমতায় থাকা পুর বোর্ড তথা মেয়র। পুরসভার কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করে আগেও একবার তৃণমূলের কাউন্সিলররা চিঠি দিয়েছিলেন মেয়রকে। উত্তরে মেয়র জানিয়েছিলেন বামেরা অন্তত ২০ কোটি টাকার দেনা রেখে গিয়েছে। বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করায় সেই কাজ বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অথচ তৃণমূলের তরফে বাম জমানার কাজকর্ম নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানানো হলেও মেয়র করেননি। কেন্দ্র থেকে এখনও কোনও বড় প্রকল্প আনতে ব্যর্থ হয়েছেন মেয়র। তৃণমূল বোর্ডে যোগ দেওয়ার পর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অন্তত ১৮ কোটি টাকা পেয়েছে পুর বোর্ড। অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতেও মেয়র যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ওই বিভাগ এক বছরেরও বেশি সময় মেয়রের হাতেই ছিল। তা ছাড়া তাঁর দায়িত্বে থাকা পার্কিং, কর সংগ্রহ বিভাগের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। প্রশ্ন তুলেছেন শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা অবৈধ হোর্ডিং নিয়েও। জোটে থাকলেও এ সবের দায় তৃণমূল নিতে রাজি নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা দলের মুখপাত্র কৃষ্ণ পাল। তিনি জানান, পার্কিংয়ের বরাত পেয়েও পুরসভার প্রাপ্য টাকা দেননি যাঁরা তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে পুলিশে এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। অন্তত ১০ কোটি টাকার পুর কর আদায় করা সম্ভব হয়নি। তাতে পুরসভার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। |
|
|
|
|
|