দায়সারা মশা-নিধনে ক্ষুব্ধ পুরবাসী
ছারপোকা, আরশোলা মারতে সাধারণত যে কীটনাশক ব্যবহার করেই মশা মারার চেষ্টা করছে শিলিগুড়ি পুরসভা। পুরসবা সূত্রে খবর, মশার উপদ্রব কমাতে সরকারি ভাবে যে তেল স্প্রে করার কথা তা কেনা হচ্ছে না। তাতে এক বছর ধরে দায়সারা ভাবে ওই কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একেই ঠিক মতো স্প্রে করা হয় না। তার উপর সঠিক ওষুধ স্প্রে না করায় মশার উপদ্রব কমছে না বলে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পুরসভায় অভিযোগও জানিয়েছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মশা মারার তেল স্প্রে করা হয় পুরসভার পরিবেশ এবং সাফাই বিভাগের তরফে। ওই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, “যে তেল এখন ব্যবহার করা হচ্ছে তা মশার লার্ভা মারতে সাহায্য করে। তবে সেটি বিশেষ কাজ করছে না বলে অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। তাই নতুন তেল ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছে। সমস্যা মেটাতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হচ্ছে।” জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মশা মারতে ‘টেমিফস’ বা ‘ফেনথিয়ান’ জাতীয় ওষুধ স্প্রে করার কথা সরকারি ভাবে বলা হয়েছে। জলের সঙ্গে মিশিয়ে তা স্প্রে করা হয়। ভারত সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও অনুমোদিত মশা মারার তেল টেমিফস এবং ফেনথিয়ান। এগুলি মশার লার্ভা মারতে সাহায্য করে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা যে ওষুধ ব্যবহার করছেন সেটি ‘সাইফেনথ্রিন’ জাতীয়। যা সরকারি নির্দেশিকায় বাড়িতে পোকামাকর মারতে ব্যবহারের জন্য উল্লেখ করা রয়েছে। একটি সংস্থার কাছ থেকে তাদের ‘ব্র্যান্ড’-এর নামে মশা মারতে ওই জাতীয় তেল কিনছে পুরসভা। কোম্পানির ওই তেলের টিনের কৌটর গায়ে আরশোলা আর ছারপোকার ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে এটি বাড়িতে পোকামাকর মারার কাজে ব্যবহার করা হয় বলে। স্প্রে করার সময় কেরোসিনের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাপে তা মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়। অথচ সেটিকে পুরসভার তরফে মশা মারার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাও জলের সঙ্গে মিশিয়ে। দুলালবাবুর দাবি, “কোম্পানির লোকেরা ওই তেলের ব্যাপারে বিস্তারিত লিখিত ভাবে জানিয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা ছিল তা মশা মারার জন্যও ব্যবহার করা হবে। সে কারণেই এটিকে বাছা হয়েছিল।” স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকজন আধিকারিক জানান, মশার লার্ভা মারার কাজে এটি ব্যবহার করা হলে তাতেও কিছুটা ফল পাওয়া যেতে পারে। তবে সরকারি ভাবে টেমিফস, ফেনথিয়ান জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের কথাই বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, আগে মশা মারার তেল হিসাবে অপর একটি তেল ব্যবহার করা হত। তা অন্যান্য জলজ প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা নিষিদ্ধ করেছে। এর পর সরকারি ভাবে একটি পাউডার দেওয়া হত। তা জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করা হত। ২০০৯ সালে সরকারি ভাবে যে নির্দেশিকা পুরসভাগুলিকে পাঠানো হয়েছে সেখানে টেমিফস এবং ফেনথিয়ান জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ গত প্রায় এক বছর ধরে সাইফেনথ্রিন জাতীয় ওষুধ কিনছেন পুর কর্তৃপক্ষ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.